অন্তরের ভাষা
-আবুল হাসমত আলী
⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔
অর্ধচন্দ্র হলদেটে আলো এসে পরে;
নৌকা বেয়ে যাই মাতলা নদীতে ভেসে ভেসে।
চাঁদের কিরণে চমকিত হয় ঢেউগুলি;
মনোরম এক সমীরণে যায় মেঘ ভাসি।
নৌকা বেয়ে আমি যাচ্ছি সুদূর বাসন্তী;
কয়েক ঘণ্টা নৌকা বেয়ে আমি সেথা আসি।
কায়মন হয় পুলকিত খুব আনন্দে;
কয়েকটা মাঠ পার হই হেঁটে সেই রাতে।
পৌঁছাই ফুলের বাগানে যেখানে তার ঘর;
শিষ দিয়ে আমি মনোযোগ টানি যে প্রিয়ার।
প্রিয়া আসে, কাশে জানালার গ্রিল ধরে হাসে;
বিজয়ির ন্যায় দাঁড়িয়েছি তার সম্মুখে।
চোখে চোখ রেখে হাতে হাত রেখে সব ভুলি;
কথা নেই ঠোঁটে বলা হয়ে গেছে নেই বাকি।
ঝিঝি পোকা গায় নিস্তব্ধতার স্বরলিপি;
গাছেদের কাছে বসে চাঁদ হাসে চুপি চুপি।
⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔
কবি পরিচিতি:
আমি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় অবস্থিত ভাতার থানার এরুয়ার গ্রামের বাসিন্দা। আমার জন্ম ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি। পিতা শেখ আতর আলী একজন কৃষিজীবী। আমি পেশায় একজন গৃহশিক্ষক। আমি মানবপ্রেমী ও প্রকৃতি প্রেমিক। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। আমি বই পড়তে ভালবাসি। সেই সঙ্গে একটু আধটু লেখালেখির চর্চা করি। একটা শোষণমুক্ত স্বচ্ছ সমাজের আমি প্রত্যাশী।