বাঁচার মতো বাঁচি

-অদিতি প্রামানিক

∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼

সকল ভালোবাসার সৌরভ আমি ফেলে এসেছি অনেক আগেই,

ভালো আর বাসা দুটোই আমার থেকে অনেক দূরে।

রাতের জোনাকী যেমন এখন আর খেলা করেনা আমার সাথে কারন তাদেরও একটা বাসা চাই।

আমি যেন এক স্থবির প্রথিক,

বনমধ্যে বসে আছি।মাঝে মাঝে কিছু ঝরা পাতা গায়ের উপর পরছে আর জানান দিচ্ছে ঝরে পড়ার আগে পালাও।

এখনও সময় আছে ,

ফুরাইনি সবটুকু।

বাঁচার মতো বাঁচো,

মরার আগে একবার।

নতুন মন্ত্রে জীবন্ত হয়ে ওঠো।

হঠাৎ হঠাৎ পাখির কিচির মিচির ধ্বনি।খুবই অসস্তিকর।

তবুও কেমন যেন আমার মনে হলো,

ওরা কিছু বলছে আমায়,

হুম মন দিয়ে শোনার ও বোঝার চেষ্টা করলাম।

ওরা বলছে পৃথিবীটা অনেক বড় আর মনটা তার থেকেও বড়।

আমাদের দেখ।

আমরা মুক্ত আকাশে প্রাণ খুলে উড়ি, মনটাকে উজার করে।

তাই থেমে থেকো না,

মনটাকে মেলে ধরো,

উজার করে।

দেখবে বাঁচার কতো সুখ।

জীবনে যদি একবার বাঁচার সুখ অনুভব করতে পারো দেখবে মৃত্যুও কতো শান্তির।

মরন তখন তোমাকে প্রনাম করবে।আমি মনে মনে হাসি।

কি বলে এসব পাখি?হঠাৎ আমি আকাশের পানে তাকায়।

দেখি সুন্দর রংধনু।

পুরো আকাশটাকে যেন মেলে ধরেছে ঐ সামান্য রংধনু।

আকাশটা যেন বলছে আমার বেঁচে থাকা যেন সার্থক হে রংধনু তোমারই জন্য।

রংধনুও যেন বলছে তোমার জন্যই আমি আছি।

ওদের কথা শুনে আমি হাসি।

এদের জীবন তো সার্থক।

আমি নিচে তাকায় দেখি একটা ফুলের উপর মৌমাছি উড়ছে।

আমি ভাবি এরাও সার্থক একে অপরের জন্য।

আমি আরও ভাবি সবাই কোন না কোন কারনে বাঁচে।

বাঁচার প্রয়োজনে বাঁচে।

আমি তাহলে কোথায়?

আমার বাঁচার উদ্দশ্যই বা কি।

শুধু ভালো আর বাসা এ দুটোর জন্যই কি মানুষ বাঁচে?

নাকি আরও বড় কিছু অন্তর্নিহিত অর্থ আছে।

নিশ্চয় আছে।

আমি আজও খুঁজে চলেছি সেই বাঁচার মতো বাঁচার অর্থ খুঁজতে।

খুঁজছি আর বাঁচছি,

জানিনা আর বাঁচবো কতদিন,

বাঁচার মতো বাঁচবো আদোতেও কিনা।

∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼

কবি পরিচিতি :

অদিতি প্রামানিক,গ্রাম:বাটিকাডাঙ্গা, জেলা :মাগুরা,থানা : মাগুরা সদর।স্বামী:তরুন বৈদ্য, এক কন্যা:তিশা বৈদ্য।শিক্ষাগত যোগ্যতা :মাষ্টার্স গার্হস্থ্য অর্থনীতি, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা।পিতা:অখিল প্রামানিক,মাতা: কল্পনা প্রামানিক।পিতৃ নিবাস: রাজবাড়ি, বেলগাছি।

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*