পাল্টে যাচ্ছে সব

-রঞ্জন ঘোষ

♦♦♦♦♦♦♦♦

ধীরে ধীরে সব যাচ্ছে কেমন পাল্টে চোখের সামনে

পুরনো বিশ্বাস আস্থা সবকিছুই যাচ্ছে লোপ পেয়ে,

অনুভব করতে পারছি আমরা আর নেই আগের মতো,

আমাদের চোখের উপর একটা কালো পর্দা আছে ছেয়ে।

ঠিক করে পারছিনা কিছু দেখতে কেউ যেন দিচ্ছে বাধা,

ভালো মন্দ বোঝার অনুভূতিটাও যাচ্ছে কেমন হারিয়ে,

কোনটা করা উচিত কোনটা ক্ষতিকর পারছি না ভাবতে,

মনুষ্যত্ববোধটা ও আজ বোধহয় ফেলেছি আমরা খুইয়ে।

মানুষের মতো দেখতে হলেও আজ পরিণত যন্ত্রমানবে,

বিশেষ কারো নির্দেশে চলছি আমরা নিজস্বতা খুইয়ে,

নিজেদের কোন বোধ করছেনা আর কাজ দিনে দিনে,

আমরা যে যন্ত্রমানব নই মানুষ সে কথা দিচ্ছে ভুলিয়ে।

আমরা কি হীরক রাজার দেশের নাগরিক হয়ে পড়েছি?

যেখানে রাজার নির্দেশই দেশের হয়ে শেষ কথা বলে,

যেখানে ভাল মন্দ ভুল ঠিক প্রতিবাদ করাটা মহাপাপ,

সমস্ত দেশ কেবলমাত্র রাজার অঙ্গুলি হেলনেই পথ চলে।

জানিনা কবে আসবে আমাদের এই আঁধার থেকে মুক্তি,

কে দেখাবে মুক্তির পথ করবে আবার মানবে পরিণত?

নাকি গড্ডালিকা প্রবাহে সবাই আমারা যাবো হারিয়ে!

তাই ভবিষ্যতের কথা ভাবলেই কেমন খেয়ে যাই থতমত।

♦♦♦♦♦♦♦♦

কবি পরিচিতি- 

আমি রঞ্জন ঘোষ, দক্ষিণ কলকাতার বেহালা নিবাসী। দীর্ঘদিন ধরেই আমি কবিতার সঙ্গে যুক্ত। কবিতা আমার প্রথম প্রেম। আমি শতাধিক পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত আছি। প্রতিদিনই আমি একটা করে কবিতা লিখি বা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রথম একক প্রকাশিত বইয়ের নাম”প্রেমের ঝর্ণাধারা”। এছাড়া আরও দুটি বই প্রবাসের পথে একটার নাম “লকডাউনের ডাইরি” ও অন্যটির নাম “জীবন তরী”। আমি আপনাদের প্রত্যেকের সাথে যুক্ত আছি। বর্তমানে আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সাহিত্যের জগতে সাথে যুক্ত থাকতে চাই।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*