ইউরি গ্যাগারিনের আকাশে রক্ত চক্ষু

-আবুল হাসমত আলী

≈≈≈≈≈≈≈≈≈

মানুষ চেতনা পেয়েছে যেদিন

সেদিন থেকে তো তাদের সুদিন

দেখি হেতা;

যুগ যুগ ধরে অবিরামভাবে

চলছে তাদের ভীষণ আবেগে

পথ চলা।

তাই তো এগিয়ে গেছে পৃথিবীতে

জ্ঞান-বিজ্ঞান সীমাহীনভাবে

মোরা জানি;

আবিষ্কারের মোহে আসক্ত

হয়ে ধরণীতে সদাই ব্যস্ত

বিজ্ঞানী।

মর্তকে ছেড়ে মহাকাশে যাবে

এ চিন্তা ছিল আদিকাল থেকে

মানুষের;

তার রূপকার অনেকে ছিলেন,

ইউরি গ্যাগারিনের সম্মান

সেথা বীরের।

সোভিয়েতের বৈমানিক তিনি,

ভস্টক নভোযানে দেন পাড়ি

মহাকাশে;

১২-ই এপ্রিল কক্ষপথে

পৃথিবী প্রদক্ষিণরত থাকে

ভস্টকে।

নভোচারী তিনি বিশ্বে প্রথম,

মহাকাশে করেছিলেন গমন

নভোযানে;

তাঁর হাত ধরে খুলে যায় দ্বার

মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চার

নব ভোরে।

সেই মহাকাশে বিস্তার করে

রক্তচক্ষু দ্বেষের কারণে

তারা সবে;

অশান্তি দানা বাঁধে বারে বারে

ঘৃণ্য স্বার্থ তাদেরকে ধরে

খুব চেপে।

সত্যি মানব মন কলুষিত,

তারা দেখে শুধু ব্যক্তি স্বার্থ

এই ভবে;

তাই পৃথিবীতে দেখি হানাহানি,

সবাই শিকার হয় জ্ঞানী-মানি

সর্বজনে।

মহাকাশ চর্চায় বড়ো বাধা,

কারণ চারিদিকে রণডঙ্কা

শুনি সদা;

তাই বাজেটের বড়ো অংশটা

প্রতিরক্ষা খাতে হয় খরচা

খুব অযথা।

≈≈≈≈≈≈≈≈≈

কবি পরিচিতি:

আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি প্রত্যাশী।

 

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*