কাব্যশৈলীর ভবিষ্যৎ
-মৃণাল কান্তি রায়
♦♦♦♦♦♦♦♦♦
একবিংশের কাব্য শৈলী কিবা শহর কিবা পল্লী
সবাই মোরা কবি নামে ভাসি,
কবিত্ব কি এতো সোজা যখন মানে না যায় বোঝা
পাঠকমাত্র অনেকেই তাই হাসি।
কবিতা যেথা উদ্দেশ্যের প্রাণ হৃদ মাঝে লাগবে টান
জ্ঞান পিপাসা মিটবে এরূপ আশা,
সেই লক্ষ্যেতে ছন্দ যখন আশা পূরণ হবেই তখন
কাব্যশৈলী হৃদ তারের বাসা।
অধুনা দেখা যায় ভালোবাসাই প্রাণ পায়
জ্ঞান জাগার ভরসা খুব কম,
সেই জন্যেতে আমি বলি আছেন যাঁরা কাব্য কলি
জ্ঞান জাগাতে লিখবেন হরদম!
নাই বা আসলো প্রশংসার ঝুড়ি নাইবা পেলেন মানের কুঁড়ি
প্রজন্মটা সাক্ষ্য থাকুক যার,
অ আ থেকে উচ্চশিক্ষা কাব্যে দেবেন প্রজন্মকে দীক্ষা
এই না হলে সৃষ্টি হবে বৃথার।
অনাগত কাল স্বাক্ষ্য রবে কোথায় কেবা বড়ো হবে
ঠিক সময়ে কবিত্ব উদ্ধার,
শিক্ষ্ক করবেন পাঠ অমুক লেখার অমুক বাট
সৃজনশক্তির আনন্দ বাহার!
সব বিষয়ের রচা কাব্য পাঠযোগ্য হবে পাঠ্য
আবৃত্তিতে চমকের বাহার,
সেই পথে করেন গমন শ্রোতা হয়ে করি শ্রবণ
পুরাই মনের চাহিদা আহার।
নয়তো কাব্যশৈলীর ভবিষ্যৎ না পুরোবে আশার জগৎ
যাঁদের আশা শৈলীর মাঝে বাঁচা,
দেহো খাঁচা মজে যাবে শেষবিছানে জায়গা হবে
না থাকিবে কলম-কালির মাচা!
(বিঃদ্রঃ জ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা লেখার আশে এ ক্ষুদ্র পরিবেশনা।)
♦♦♦♦♦♦♦♦♦
কবি পরিচিতি-
মৃণাল কান্তি রায়, জয়শ্রী, শিকারপুর, উজিরপুর, বরিশাল, বাংলাদেশ।