সুন্দরের কপালে অমাবস্যার ছায়া
-আবুল হাসমত আলী
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
সুন্দর ধরা সুন্দর সৃষ্টি
ভালো করে চেয়ে দেখি
কি সুন্দর দৃশ্যটি;
সবুজ লতা পাতায় ভরা
নানান ফুলে ফুলবাগিচা
দেখতে ভারী মিষ্টি।
মধুকররা গুনগুন করে
দেয় ভরিয়ে মধুর সুরে
ফুলের আশেপাশে;
ফুলগুলি সব আবেগ তাড়িত
হয়ে হয় যে আন্দোলিত
মধুর শিহরনে।
পূর্ণিমার চাঁদ দেয় সমর্থন
সাথে থাকে সেই সমিরন
সেই মধুর মিলনে;
কিন্তু তাদের বাধা দিতে
রাতের পেঁচা ডাকতে থাকে
অশুভ বচনে।
অমাবস্যার চাঁদকে দেখি
দেয় তাচ্ছিল্যের বাঁকা হাসি
এই দৃশ্যটি দেখে;
দুষ্টু যারা অস্থির হয়ে
ক্ষতি করতে চেষ্টা করে
সুনিপুণ ভঙ্গিতে।
তাই ধরাতে সুন্দরের ক্ষয়
হচ্ছে সদা অবলীলায়
মোদের পরিবেশে;
অমাবস্যার কালো ছায়া
চারিদিকে দিচ্ছে ঢাকা
সুন্দর সবকিছুকে।
সুন্দর ধ্বংস করতে তারা
অস্ত্রহাতে ঘোরাফেরা
করে দেয় শাসানি;
সৌন্দর্যের ছাপ তাই বড়ো ম্লান
কোন জায়গায় নেই যে তার স্থান
আছে হানাহানি।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি:
আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি প্রত্যাশী।