স্তব্ধতার অন্তরালে

-শিবানী সাহা

¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤

মানুষের দেওয়া দুঃখ ব্যথা বেদনা

পুঞ্জিভূত হয়ে জমে থাকে অন্তরে,

বোবা কান্নার আড়ালে চোখের জল ঝরে

মনে হয় সেই স্তব্ধতায় কি যেন লুকিয়ে থাকে।

কৈশোর পেরিয়ে সবে যৌবনে পা দেওয়া

প্রতিবেশী দারিদ্র্যের ঘরে জন্ম নেওয়া মেয়েটি

হঠাৎ একদিন কলুষিত হয় মনুষ্য নামক দৈত্যের হাতে।

যাকে সে চিনতো ভালো মানুষ রূপে

শ্রদ্ধা করতো মনে মনে গুরুজন হিসেবে।

কিন্তু তার নোংরা কদর্য রূপটা মনে পড়তেই

প্রবেশ করে স্তব্ধতার গভীর অন্ধকারে,

মুখ ফুটে বলতে পারে না কাউকে।

কে শুনবে কার কথা বড্ড গরীব যে

নেই ক্ষমতার জোর নেই অর্থের জোর

তাই সব কিছু সহ্য করতে হয় মুখ বুঝে।

স্তব্ধ হয়ে যায় তার জীবন কিছুই ভালো লাগেনা

ঘরের ভেতর বন্দি থাকে লোকচক্ষুর আড়ালে,

মেয়ের করুণ দুর্দশা ভাবায় জন্মদাত্রী মাকে।

জিজ্ঞেস করলে ও কিছু বলে না থাকে চুপ করে,

স্তব্ধ হয়ে গেছে ওর হাসি খুশি জীবন

চঞ্চলতায় ভরা মন, ভাষাহীন নয়ন।

কোন কিছুতেই বোঝার উপায় নেই

এই নীরব নিস্তব্ধ তার কারণ।

হয়তো সে নিজেই একদিন গর্জে উঠবে

এই অমানবিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে,

ধীরে ধীরে মনের মাঝে জমছে ক্ষোভ

একটু একটু করে স্তব্ধতার গহ্বরে।

না বলতে পারা কথাগুলো হঠাৎই একদিন

গর্জে উঠবে স্তব্ধতাকে ভেদ করে।

¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤

কবি পরিচিতি:-

আমি শিবানী সাহা। আমি একজন সাধারণ গৃহবধু। বর্তমানে হুগলি জেলার কোন্নগরে বাস করি। কবিতা লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। প্রকৃতি, প্রেম, ভালোবাসা, পারিপার্শ্বিক ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমি বেশিরভাগ সময় কবিতা লিখি। যা প্রতিনিয়ত আমাকে ভাবায়। পাঠকের মনে আমার কবিতা স্থান পেলে আমার কবিতার সার্থকতা ও আগামী দিনের লেখার প্রেরণা।

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*