ক্ষুধার জ্বালা
-ইন্দিরা দত্ত
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
দাবানল সম জ্বলে ক্ষুধার’ই জ্বালা
সর্বনাশী সর্বগ্রাসী কন্টকের মালা।
ক্ষুধার জ্বালায় ঘুরি অন্ন নাহি জোটে,
দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন বোঝো নাকো মোটে।
প্রভুত দাহন ক্ষুধা জ্বলে সারা দেহ,
ভীষণ ক্ষুধার্ত মোরা দাও খেতে কেহ!
মোদের সামান্য দাবি মেটে যদি ক্ষুধা,
বাসি পোড়া রুটিটুকু বুঝি স্বর্গ সুধা!
মোরা সবে ভুখা পেটে অনাহারে মরি,
কেমনে মিটাবো ক্ষুধা কি যে মোরা করি!
তোমরা সবাই খাও মোরা অনাহারী,
ক্ষুধার জ্বালার কষ্ট সহিতে না পারি।
গরিব বলিয়া মোরা পাই কত ব্যথা!
তোমরা সবাই ধনী শোনো নাহি কথা।
অতি কষ্টে বলি তাই মর্মান্তিক ভাষা,
সাহায্যের হাত দাও পাব তবে আশা।
অনাহারে কাটে হায় আমাদের রাত,
পেটের জ্বালায় কাঁদি পাই নাতো ভাত!
দোকানে দোকানে মাগি পেট যদি ভরে,
আশায় আশায় ঘুরি সাহায্যের তরে।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি:-
নাম—ইন্দিরা দত্ত।পিতা—…শ্রী শ্যামসুন্দর বিশ্বাস ……..মাতা—…… শ্রীমতি বীণাপাণি বিশ্বাস …স্বামী – শ্রী উৎপল দত্ত। ঠিকানা—…KSTP..,ADDA…houseing AG-10Asansol WB.. পেশা—গৃহবধূ ও গৃহশিক্ষিকা।শখ—নাচ,গান,আবৃত্তি,বাগান করা, রান্না করা,ঘর সাজানো। একজন সাধারন মেয়ে হিসেবে নিজের সম্বন্ধে লেখার মত তেমন কিছু নেই।তবুও ছোটবেলা থেকে লেখা এবং পড়া ভালো লাগতো বলেই জীবন সায়াহ্নে এসে লেখা শুরু করা।মনে অনেক স্বপ্ন ছিলো—দেশ,সমাজ,সংসার আর ব্যক্তিপ্রণয়ের কল্যাণে কিছু করবো।তাই—সময়-অসময়ে কিছু ঘটনা-দুর্ঘটনায় নিজের সুখ-দুখের হাতিয়ার করে তুলি এই কলম।আমরণ পাঠকের তৃষ্ণা নিবারণেই আমার পথ চলা।
ভীষণ খুশি হলাম।