তোমার পরশ খুঁজি
-শ্যামল কুমার মিশ্র
«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»
সারা আকাশ জুড়ে সেদিন মেঘ করেছিল
রোদ্দুর ঢাকা পড়েছিল কালো মেঘের আড়ালে
সহসা বৃষ্টি এসে আমায় ভিজিয়ে দিল
আমার চোখে মুখে লেগে রইলো ওর মিষ্টি পরশ
আমি অবাক চোখে তাকিয়ে রইলুম
নৃত্য চপল ছন্দে ভরে উঠল আকাশ
ঘনঘন বিজুরি সম্পাতে ঝরে পড়লো ওর সলাজ হাসি
আমি হাত বাড়িয়ে দিলাম
ছুঁতে চাইলাম ওরে
অষ্টাদশীর লাস্যে ও হারিয়ে গেল মেঘের আড়ালে
আমি অপেক্ষায় থাকি
মেঘবালিকার লাগি দিনান্তের শেষ প্রহরে
হয়তো বা রাত্রি গভীর হয়
কিছু কান্না বৃষ্টি মাঝে জমাট বেঁধে থাকে
আমি হারিয়ে যেতে যেতে খুঁজে ফিরি তোমায়
কড়া ওঠা হাতে নরম স্পর্শ যেন বলে যায়–
হারায় নিকো কিছু
সব আছে সময়ের গভীরে…
জমাট বৃষ্টি ঝরে পড়ে
উন্মুক্ত আকাশ তলে আমি ভিজতে থাকি
মেঘবালিকা যেন ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
সায়াহ্নের শেষ প্রভাতে…
«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»
কবি পরিচিতি:
সাহিত্যকে ভালোবেসে কিছু লেখার চেষ্টা। কখনো তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের এক প্রত্যন্ত প্রান্তে আমার জন্ম। গ্রামবাংলার মেঠোপথে কেটেছে শৈশব। তারপর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। লেখার অভ্যাস সেই ছোট বেলা থেকে। রামকৃষ্ণ মিশনে তা এক ভিন্ন মাত্রা পায়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণরসায়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন। বিদ্যাসাগর রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত বিদ্যাসাগর প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় দুবার শ্রদ্ধেয় সন্তোষ কুমার অধিকারীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে। শিক্ষকতাকে ভালোবেসে ৩৪ টা বছর কেটে গেছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে অন্যতম প্রাপ্তি “দ্রোণাচার্য্য” পুরস্কার। ভালো লাগে পড়তে, লিখতে আর মানুষের মাঝে সময় কাটাতে। আর তাই সৃষ্টি “মনীষী চর্চা কেন্দ্রের” যা মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিক মনন গড়ে তুলতে সদা সচেষ্ট। সাহিত্যের মাঝে বুক ভরে শ্বাস নেওয়াতেই আমার আনন্দ …
আষাঢ়ের সকালে মেঘবালিকা আর রোদ্দুরের খুনসুটি চলছে। আলো-আঁধারির এই মিষ্টি সকালে পড়ে ফেললাম আপনার এই মন-ভালো-করা কবিতাখানি। পেশার জীবন এক সময় হয়তো থামে, থামে না নেশার জীবন। তাই জীবন প্রবহমান, এক জীবন থেকে আরেক জীবন। আপনি সেই জীবনপথের পথিক যার পথ চলা অন্তহীন। অনুপ্রেরণা আমাদের। হে মহাজীবনের কবি, আপনাকে প্রণাম।