কোথায় হারিয়ে গেল
-মাই ফেয়ার চৌধুরী
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কোথায় হারিয়ে গেল ষড়ঋতু!
বসন্তে শুনিনা কোকিলের কুহু কুহু
মৌমাছির মৌবনে মৌ মৌ নৃত্য।
কোথায় হারিয়ে গেল!
ঋতুরাজ বসন্তের পাতা ঝরা শব্দ,
আধুনিকতার ছোঁয়ায় ধ্বংসস্তূপে জব্দ।
শব্দের কোলাহলে দূষিত বায়ুর গন্ধ,
প্রকৃতি ধ্বংসে মুক্ত বায়ু আনাগোনা বন্ধ।
ভাঙা-গড়ার রঙিন শহরে উঁচু উঁচু দালান,
খোলা চোখে দেখি না তারা ভরা আসমান।
হারিয়েছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য,
ঘুমিয়ে পড়েছে অনুভূতির মাধুর্য।
বড় বড় দালানে ঢেকে পরে পূর্ণিমার আলো,
নতুনত্ব সৃষ্টিতে মেঘে ঢাকা আঁধারে কালো।
শিশির ভেজা সবুজ ঘাসে দেখি না আজ,
পিচঢালা পথে মাঝে মাঝে বড় বড় খাদ।
শীতলপাটি উঠোনে বিছিয়ে হতো আড্ডা গল্প,
হারিয়ে গেছে সবি,আজি রূপকথার গল্প।
ভাতৃত্বের প্রীতির মায়ার বন্ধনে দ্বন্দ্ব,
সন্ধ্যায় আঙ্গিনায় মুগ্ধ হতাম ফুলের গন্ধ।
হারিয়ে গেছে ঐতিয্যের মধুকাল ছন্দ!
মেঠোপথ ধরে সারি সারি গরুর গাড়ি,
নদী ঝিলে মাছ ধরে জেলে ফিরতো বাড়ি।
গোলাভরা ধান পুকুর ভরা মাছ শূন্যের হাড়ি!
গায়ের বধু জল আনতো দীঘির ঘাটে,
রাখাল গরুর পাল নিয়ে যেতো মাঠে।
ডানপিঠে দল রঙ-বেরঙের ঘুড়ি উড়াতো মাঠে,
দেখিতে পাই না জারি-সারি মারফতি পাঠে।
হারিয়ে গেল জোনাকির মিটি মিটি আলো,
শতাব্দী এই যুগে কিছুই আর লাগেনা ভালো।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
মাই ফেয়ার চৌধুরী, মাতা-লায়লা বেগম, পিতা-রমজু চৌধুরী, আগ্রাবাদ সি,ডি,এ আবাসিক এলাকা, ডাকঘর-বন্দর,পুলিশ স্টেশন-ডবলমুরিং, জিলা-চট্টগ্রাম