সময়ের সীমারেখায় বন্দী

-পপি প্রামানিক

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

“কবিতার পাতা”

মনের কথা লিখার মস্ত বড় খাতা!

এক পৃথিবীসম বিচরণ ক্ষেত্র—-

যেখানে অবাধে দুঃখ বিলিয়ে সুখ ছোঁয়া যায় অহর্নিশ,

দুঃখ সুখের সুর বাঁধা যায়,

পেঁজা তুলোর মতো নরম মেঘে গা এলিয়ে

ডানা মেলে হাওয়ায় উড়া যায়,

পাওয়া যায় একাকীত্বের একান্ত সঙ্গী হিসেবে।

কিন্তু আগের মতো আর যাওয়া হয় না!

সময়ের কাছে নিজেকে বড্ড অসহায় মনে হয়,

সময়ের সীমারেখায় বন্দী আমি।

ডানা ঝাপটাই কিন্তু উড়াল দিতে পারি না।

বেলা শেষে সূর্য ডোবা গোধূলি লগ্নে l

ছুটে যেতে চায় মন।

আমি নির্বাক শূন্যতায় হারিয়ে যাই,

কত কি বলা না বলা স্বপ্নের জটলায়!

উদাসী বাউলা মনটা হারিয়ে যায়

একতারার সুর সাগরের অজানায়।

সমস্ত শব্দরা হয়ে যায় নিশ্চুপ!

শ্রাবণ মেঘের মতো আবেগের গর্জনে চুপসে যায় স্বপ্ন,

ভোরের শিশিরের মতো চোখের পলকে

বিলিন হতে চায়।

তবুও অতি আপন ভেবে হৃদয় ছুটে চলে,

সে বিচরণ ভূম যে আমার আপনারও আপন।

সেথায় আমি ঋদ্ধতায় পরিতুষ্ট হই,

আত্মতৃপ্তিতে পবিত্র হই সেই বহমান গঙ্গা ধারায়।

তপ্ত হৃদয় শীতলতায় অবশ হয় —

যখন স্মিত হেসে ছুঁয়ে দেয় অতৃপ্ত মন।

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

কবি পরিচিতি- 

পপি প্রামানিক, সহকারী শিক্ষক, পিতাঃ আশুতোষ প্রামানিক, মাতাঃ কানন বালা প্রামানিক, স্বামীঃ বিশ্বজিৎ সাহা, পোস্টঃ রতনদিয়া

উপজেলাঃ কালুখালী, জেলাঃ রাজবাড়ী। বাংলাদেশ

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*