পরাধীনতার তিক্ত স্বাদ
-মোঃ হাবিবুর রহমান
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
পরাধীনতার গ্লানি সদা দেয় পীড়া
শোষণের যাতাকলে ধান হয় চিড়া।
নির্বাক থাকি সবাই অন্তরেতে জ্বলি
মনের সকল কথা গোপনেতে বলি।
হায়েনা প্রহরা দেয় মুখে তাই তালা
বুভুক্ষ সকলে থাকি হৃদে জমে জ্বালা।
হাত-পা সকল আছে চলিতে যে মানা
মুখ আছে কথা নেই যদিও তা জানা।
কোনদিন আধাপেট কোনদিন খালি
অনাহারে কঙ্কাল যে মোরা বনমালি।
শস্য-ফল চাষ করি ছুঁইতে না পারি
সাধ জাগে স্বাদ লই আমি অনাহারি।
আমার ফলানো শস্য কেড়ে নেয় তারা
বানাই হে অট্টালিকা তবু ঘরছাড়া
সকলেই করি কাজ ক্ষেতে কিবা কলে
মজুরি বঞ্চিত হই আরো পায়ে দলে।
লেনিন তোমারে খুঁজি মুক্ত করো হাত
শোষণ শৃঙ্খল ভাঙি করি প্রতিঘাত।
সাম্যের গাহিয়া গান হই আগুয়ান
জয় একদিন হবে বেঁচে যাক প্রাণ।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতি:
মোঃ হাবিবুর রহমান। ১৯৬১ সনে (মাতাপিতার মতে) বাংলাদেশের স্বনাম ধন্য জেলা মাদারীপুরের এক নিভৃত জনপদ কুমড়াখালী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে কবির জন্ম। বেড়ে ওঠা গ্রামেই। তিনি দর্শন বিষয়ে সম্মান ও এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। সুদীর্ঘকাল বিশ্বখ্যাত বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাকে শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত ছিলেন। বিবাহিত। দুই সন্তানের জনক। ছোটবেলায় একটু আধটু লেখার অভ্যাস ছিল। অবসরে এসে কাব্য চর্চায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন। বর্তমানে ঢাকা শহরে বসবাস করছেন।