এ কোন স্বাধীনতা?
-প্রদীপ কুমার মাইতি
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
১৯৪৭ এর ১৫ আগষ্ট বাঁধভাঙা উচ্ছাসে স্বাধীন দেশের তেরাঙা পতাকা কাঁধে তুলে নিয়ে
একটা সুস্থ সমাজ ও সুখী জীবনের স্বপ্ন পূরণের আশায় যারা বুক বেঁধেছিল,
স্বাধীনতার জন্মলগ্নে সেই প্রত্যাশা কেন চুরি হয়ে গেল।?
স্বাধীনতার পঁচাত্তরে দাঁড়িয়ে স্বাধীন দেশের মাটিতে সহস্র শহীদের স্বপ্ন
আজও কেন ঘুরে বেড়ায় দীর্ঘশ্বাস আর হাহাকারে,
এদেশ আজও কেন থাকে শোষনে,পীড়ণে,অভুক্ত অনাহারে?
এ কোন স্বাধীনতা?
যে স্বাধীনতায় ভুখা শৈশব রাজপথে হাত পাতে ছিন্ন মলিন বেশে,
বিকৃত কামনা ক্ষুধা মেটায় কোলের শিশু কন্যার নরম মাংসে।
যে স্বাধীনতায় কারখানার চিমনির ধোঁয়ায় পুড়ে ছাই হয় শ্রমিকের অর্জিত অধিকার,
অন্নদাতা কৃষকের অনাহারে অর্দ্ধাহারে গোনা যায় পাঁজরের হাড়।
যে স্বাধীনতা কাজের প্রত্যাশায় থাকা শিক্ষিত বেকার যুবক কাজ না পেয়ে
হাতে তুলে নেয় রঙিন পানিয় গ্লাস,
ছাদনাতলায় নববধূর স্বপ্ন গুলো পনের দায়ে হয় পোড়া লাশ।
যে স্বাধীনতায় প্রতারকের প্রতিশ্রুতির ভাষণে মুখরিত হয় বাতাস,
শোষিত নিপীড়িত প্রতিবাদী মানুষের মিছিলের দীর্ঘশ্বাসে ভারি হয় আকাশ।
বীজয়ের এই পূণ্য দিবসে চাইনা এ ভুখা স্বাধীনতা,
তুলবো আওয়াজ নতুন করে স্বাধীনভূমির বারতা।
হিন্দু মুসলমান জৈন খৃষ্টান জাগো আরো দেশে যত যৌবন ,
দেশিয় বেনিয়া দুর্বৃত্তদের পাঁজর আঘাতে আঘাতে করো খানখান।
গর্বিত হবে ভারত মাতা ভাঙবে শেকল পরাধীনতার,
নতুন করে স্বাধীনভূমির খুলবে আবার নতুন দ্বার।
পঁচাত্তর তম জন্ম দিবস হোক আমাদের অঙ্গীকার,
শত শহীদের স্বপ্ন পূরণে জন্ম নেবো বারেবার।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতি-
আমি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত খেজুরী থানর গ্রাম কামদেবনগর পোস্ট কলাগেছিয়া এর বাসিন্দা। একটা সময়ে কবিতা লিখতাম। কবিতাকে ভালো বাসতাম। বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি। অভাবের তাড়নায় কলেজের গন্ডিও পেরোতে পারিনি। প্রচণ্ড দারিদ্র্যতার মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছি।আজ জীবন অবসরে অতীত অভ্যাসকে সঙ্গী করে আবার লেখা শুরু করেছি। মনের মাঝে লুকিয়ে রাখা কষ্ট দুঃখ কান্না ব্যাথা গাঁথা স্মৃতিময় কথা গুলোকে নিজের মত করে লিখি মাত্র।হয়তো আমার লেখাতে কোন গভীরতা নেই,ঝর্নার মতকোন গতিও নেই,নেই কোন ছন্দমিল অন্তমিল। তবুও আজ লিখতে বড় ভালোলাগে। অনলাইন পত্রপত্রিকায় টুকটাক লেখালেখি করি।শোষনহীন সমাজের স্বপ্ন দেখি।