বিদগ্ধ ব্যাকরণ

-মমতা শঙ্কর সিনহা(পালধী)

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

সেদিন কৃষ্ণচূড়া,রাধাচূড়ারা ঝরে পড়ছিল টুপটাপ,

রাজপথ ভেসে যাচ্ছিলো হঠাৎ বৃষ্টির জলে,

শহর থেকে গ্রামের মেঠো পথে

নেমেছিল অকাল নিস্তব্ধতা,

সন্ধ্যাপ্রদীপের শিখাও যেনো কোনো রমনীর আত্মক্রন্দনে হচ্ছিল নিভু নিভু,

ব্যাভিচারী পৃথিবীর অনাচারের যন্ত্রনার ক্ষত নিয়ে নীরব শব হয়ে

তুমি শুয়ে ছিলে মর্গের কেবিনে।

একটা শরীর জ্বলছিলো দাউদাউ করে—

চিতার নগ্ন কাঠ জ্বালিয়ে,পুড়িয়ে শেষ করে দিচ্ছিল এক একটা রঙিন স্বপ্নকে,

আর জন্ম নিচ্ছিল অনেক অনেক প্রশ্নের–বেরঙিন হাইপেনের,

চারিদিকে শুধু জল থই,থই অসহায়তার আবেশ—রুদ্ধ নিঃশ্বাস,

বেদনার হয়ে স্মৃতিরা খেলা করছে দিগন্তবিস্তৃত মাঠে—ধূসর মেঘের গায়ে ভেসে।

নদীর বালিয়াড়ি চরে শ্মশানের চিতার ছাই—

সমস্ত অন্যায়ের সাথে সন্ধি করে যেনো থমকে গেছে কোনো এক সমাসবদ্ধ চৌরাস্তার মোড়ে,

চক,ডাস্টার,বইয়ের সারি,অনেক মেলা-নামেলা গণিতের ইকুয়েশন,

সব যেনো আজ বড় এলোমেলো,

ফাঁকা,ফাঁকা ক্লাসরুম,করিডোর,ক্যান্টিন–

কেঁদে ফেরে আজও বিষন্ন ব্ল্যাকবোর্ড।

এখনও যেনো পিরামিডের কিছু

যন্ত্রনার ইতিহাস পৃথিবীর বুক হতে ছুঁতে চায় নীলআকাশ,

চারিদিকে ওড়ে কেবল বিবেক বর্জিত সমাজের ধোঁয়ার আস্তরণ,

নদীর জলে বয়ে যায় ডাকটিকিটের রঙ,চিতার ছাই—

ইতিহাসের পাতায় প্রত্নতত্ত্বের প্রেম

প্রয়োজনে লেখে বিদগ্ধ ব্যাকরণ।

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

কবি পরিচিতি- 

আমি কবি ও বাচিক শিল্পী অ্যাডভোকেট মমতা শঙ্কর সিনহা(পালধী)। পেশায় একজন আইনজীবী।আর নেশা আমার সাহিত্য চর্চা।আমার বাবা শ্রী রবিশঙ্কর সিনহা,যিনি অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারী,আমার মা সোমা সিনহা ও আমার শ্বশুরমহাশয় শ্রী শ্যামলকুমার পালধী,যিনি দীর্ঘ ৩৪ বছর তার বর্ণময় প্রধান শিক্ষকের জীবন অতিবাহিত করেছেন ও সাথে একজন একনিষ্ঠ সাহিত্যের অনুরাগী এবং স্বামী অ্যাডভোকেট অভ্র পালধীর উৎসাহ দানে ও তাদের সাহচর্যে আমার সাহিত্যের এ পথে চলা।

 

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*