কৃষ্ণচূড়া
-অনিল কুমার পাল
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কে যেন বলেছিল কৃষ্ণচূড়া ফুল
নিয়ে লিখ কবি।
তার কথা যেন কানে বাজে
সুমধুর, নয় তো রবি।
কৃষ্ণচূড়া ও ডাকে আমায়,
রাঙ্গিয়ে আছি দেখবে তো তাই।
যতদূর দৃষ্টি যায় রাঙা ফুল
ফুঁটিয়ে আছি ভাবিও না ভাই।
আমাকে দেখে জুড়িয়ে যাবে,
নয়ন, মনে দেবে দোলা।
আমার পাশে রাধাচূড়া ফুল,
ফুটিয়ে আছে হলুদের মেলা।
মোর সাথে কি যে সখ্যতা? ও যেন
ভাবে আমার রঙের দিয়ে রাখবো কব্জায়,
কৃষ্ণচূড়ার রঙের ছটায় উজ্জলতায়,
নত শির করে লজ্জায়।
কৃষ্ণচূড়ার আগুন ধরায় প্রেমিক প্রেমিকা
তপ্ত রদ্দুর হার মানায়।
ফুল মঞ্জুরি, প্রেমিক যুগলের
গলাগলি ধরে আছে যেন মনে ভাবায়।
রাঙা পলাশ, শিমুল, বসন্তের বিদায়ে
কৃষ্ণচূড়া, গ্রীষ্মের খড় রৌদ্রময়।
পত্র-পল্লবে থোকায় থোকায় বাতাসে
মৃদুমন্দ দোল খায়।
চিকন চিকন পত্র যেন বাতাসের
শিল্পীর গান গাই।
কৃষ্ণচূড়া তোমার ফুলের মূর্ছনায়
সেলফি তুলি হারিয়ে যেন না যাও।
মনের মাঝে থাকো তুমি প্রতিবছর
তোমার লাল রঙের রাঙিয়ে।
কৃষ্ণচূড়া ফুল মম তুমি দুর্বলতায়,
ভাবিও না আর থাকো দাঁড়িয়ে।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতি
অনিল কুমার পাল, পিতা মৃত দ্বিজপদ পাল, মাতা মৃত রেনু বালা পাল, তিনি মাগুরা জেলার অন্তর্গত পুটিয়া গ্রামে, ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একটি বিশেষায়িত ব্যাংকে অডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন। লেখালেখি শুরু ১৯২১ সালের নভেম্বর হতে, বই পড়তে ভালো লাগে।