গোধুলির রঙে

-মোঃ হাবিবুর রহমান

≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈

সন্ধ্যা নামে শ্যামল বনে হলদে পাখির গায়ে

নিজেকে কি লুকানো যায় অস্ত রবির ছায়ে?

চঞ্চলা মন থাকতে চায়না নীড়ে

যাই হারিয়ে হাজার তারার ভীড়ে

জোনাক জ্বলা ঘোর আঁধারে ছুটে বেড়াই দূরে

বাসায় ফেরা পক্ষি শাবক দেখে আসি ঘুরে।

গোধুলি পর রবির আলো যায় হারিয়ে কোথা

প্রাণ সকলে ক্লান্ত মনে মানছে সবাই প্রথা

শ্রম বেঁচে না অবসাদে তারা

দুখের মাঝে শান্তি সুধা ধারা

জোনাকিরা মিটিমিটি আলো জ্বেলে রাখে

রাতের পাখি কেমন সুরে রয়ে রয়ে ডাকে।

মানুষ ফেরে আপন নীড়ে পরিবারে থাকে

পশু-পাখি আর সকলে ঘরে কি বা শাখে।

রাত জাগা কেউ অন্ধকারে ছুটে

হানা দিয়ে অর্থ-সম্পদ লুটে

শেয়াল ছুটে পাশে গাঁয়ে মুরগী ধরবে বলে

বাঁদুর দেখি রসের হাঁড়ি নেয় যে বলে ছলে।

সৃষ্টি কুলে অনন্তকাল দিবা রাত্রির খেলা

সূর্য উঠে দুপুর গড়ায় আবার সন্ধ্যেবেলা

কেউবা ক্লান্ত কেউবা শান্ত ভবে

বাঁচা-মরার খেলছি খেলা সবে

সন্ধ্যা নাকি দুপুর হলো যায় না বুঝা কিছু

অহোরাত্র অমঘ নেশায় ছুটছি তারই পিছু।

≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈

কবি পরিচিতি:

মোঃ হাবিবুর রহমান। ১৯৬১ সনে (স্কুল শিক্ষকের মতে) বাংলাদেশের স্বনাম ধন্য জেলা মাদারীপুরের এক নিভৃত জনপদ কুমড়াখালী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে কবির জন্ম। বেড়ে ওঠা গ্রামেই। তিনি দর্শন বিষয়ে সম্মান ও এমএ ডিগ্রী অর্জন করেন। সুদীর্ঘকাল বিশ্বখ্যাত বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাকে শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত ছিলেন। বিবাহিত। দুই সন্তানের জনক। ছোটবেলায় একটু আধটু লেখার অভ্যাস ছিল। অবসরে এসে কাব্য চর্চায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন। ইতিমধ্যে পাঁচ শ-র বেশি কবিতা লিখেছেন। তিনি কবিতার পাশাপাশি গল্প ও প্রবন্ধ লিখে থাকেন। বর্তমানে ঢাকা শহরে বসবাস করছেন।

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*