শব্দের অভিসারে

-বিজয়া মিশ্র

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

এখন গভীর রাত।

রাত্রির পরিক্রমায় এগিয়ে চলেছে পূর্ণিমার চাঁদ, তার নিখুঁত গন্তব্যে।

বেল, জুঁইয়ের বেড়া ছুঁয়ে একঝলক হাওয়া ভিজিয়ে দিল আমার সমস্ত অস্তিত্ব।

আমি তার নীরব উপস্থিতিতে আপ্লুত, মুগ্ধ।

ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে সময়ের বাতাবরণ,

নির্বিশেষে ছুঁয়ে যাচ্ছে অপ্রত্যাশিত মদিরা,

আমি তাকে গড়তে চাই আমার অতন্দ্র সাহসিকতায়,

অনিকেত অবয়বে তার সর্বাঙ্গে এঁকে চলেছি এক একটি মুক্তোর মতো বিহ্বলতা।

নিশীথ এলেই অপেক্ষমাণ ইচ্ছেরা কথা কয় নিভৃত নিমগ্ন সর্বাঙ্গে।

ধীরে ধীরে রাতের বাতায়নে লেগে থাকা চাঁদের হাসিটুকু একাকার হয়ে তাকিয়ে থাকে আমাদের নিখুঁত গড়নে।

অবশেষ শিল্প কায়া রূপ নেয় প্রতিদিনের চাওয়া পাওয়ার জমিতে।

শব্দগুলো আলগোছে সেজে গড়ে উঠছে অভিনব অবয়বে

সে আমার মূখোমুখি দাঁড়িয়ে মৃদু হাসিতে ভরিয়ে দেয় প্রতিদিনের না পাওয়ার ফাঁকগুলো।

সম্পূর্ণতা নিবিষ্ট এই আমি হারিয়ে যাই রাতের গভীরতায়,

সৃষ্টি আর শ্রদ্ধার নিবিড় এক মুগ্ধতার সাক্ষী থাক একথালা পূর্ণিমার হাসি।

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

কবি পরিচিতি:

আমি বিজয়া মিশ্র। আদি নিবাস পূর্ব মেদিনীপুরের একটি গ্ৰামে। গ্ৰাম্য উন্মুক্ত পরিবেশের বৈচিত্র্য মাঝে আমার বেড়ে ওঠা, লেখাপড়া এবং লেখালেখির সূত্রপাত ।স্কুল শেষ ক’রে কলেজ, বাংলা বিভাগে স্নাতক( মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর মহাবিদ্যালয় থেকে),জুনিয়রবেসিক ট্রেনিং-সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন থেকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এড, এবং অন্যান্য কিছু ডিপ্লোমা, ডিগ্ৰী ও সোস্যাল স্টাডিজ নিয়ে পড়াশুনা, মেডিকেল এরিয়ায় শিক্ষিকা ও অন্যান্য পদে অন্ততঃ পনের বছর অতিবাহিত ক’রে বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরতা এবং কলকাতার যাদবপুরে বসবাস করি।

 

 

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*