শরৎ এলো
-নুপুর বিশ্বাস
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
শরৎ এলো কোথায় শরৎ?
মাছ ধরতে- নামলো ভরত,
ভিজলো জলে মাখলো কাদা,
কাঁশের বনে ফুলেরা সাদা,
ফুটেছে আরো শিউলি জুঁই,
ভোরের শিশিরে ভিজে মনভূঁই,
ছুঁয়েছে হৃদয় গোপনে কেউ,
নদীর বুকে উছলায় ঢেউ,
ও নদী তুই- কোথায় যাস?
কোন অজানায়- কারপানে ধাস?
নে না আমায় সঙ্গে তোর,
তোর বুকেতেই হোক না ভোর,
নতুন ভোর রোদ ঝলমল,
নদীর জল স্বচ্ছ টলমল,
ফুটেছে কত শাপলা শালুক,
খুশিতে মন আজকে দুলুক,
স্বপ্নরা হোক আকাশ ছোঁয়া,
আকাশটা দ্যাখ বৃষ্টিতে ধোঁয়া,
মেঘ বালিকা- কোথায় তুই?
রঙধনু রঙে- তোকেই ছুঁই,
জানি না কখন গুটিগুটি পায়ে,
মুহূর্তরা স-অ-ব যায় হারিয়ে
গোধূলি আকাশে আবির ভাসে,
প্রদীপের আলোয় সন্ধ্যা হাসে,
হিমেল হাওয়া বইছে মৃদুমন্দ,
ধূপের ধোঁয়ায় পুজোর গন্ধ,
ঢাকির ঢাকে পড়লো বাড়ি,
উমা আসবেন বাপের বাড়ি,
আকাশে-বাতাসে উঠলো ধ্বনি,
ঐ শোনা যায় মা’র আগমনী,
আগমনী সুরে হৃদয় ছুঁলো,
এলো রে ভাই শরৎ এলো।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতি:-
আমি “নুপুর বিশ্বাস”। পিতা-হাজারী লাল বিশ্বাস এবং মাতা-সুধা রানী বিশ্বাসের সর্ব কনিষ্ঠা কন্যা। পিতৃ নিবাস-মনিরামপুর,যশোর। স্বামী-বিশ্বনাথ শিকদার(প্রকৌশলী) মেয়ে-অরোরা(মেডিকেল অফিসার,শিকদার মেডিকেল) ছেলে-অর্ক(CSE BUET) পেশা-ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাষক, নেশা- সাহিত্য চর্চা।গান শুনতে ভীষণ ভালোবাসি।
সম্প্রতি অবসরে মনের কথাগুলো একটু আধটু গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করছি মাত্র।ব্যাকরণগত ভাবে সেগুলো কবিতা হচ্ছে কি হচ্ছে না সে বিচারে নাই বা গেলাম,লিখতে ভালো লাগছে,পাঠক অনুপ্রাণিত করছে।এই খুশিটাই অনেক পাওয়া,বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে একটা কথাই বলবো-“কবিতায় বাঁচি।পাঠকদের ভালোলাগার সূত্র ধরে “একুশের বইমেলা-২০২২” এ আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ-“নীল আকাশের পদ্য”-প্রকাশিত হয়।বইটি পাঠকের ভালোবাসায় সফলতার সাথে সমাদৃত-প্রথম মুদ্রণ সংখ্যা পাঠকের কাছে পৌঁছে গেছে। এখন দ্বিতীয় মুদ্রণের অপেক্ষায়।
Thanks 🙏