বেকার
-সোহেল রানা সৈকত (ধ্রুবতারা)
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কাজ জোটেনা যথাযথ, তাই থেকে যায় বেকার,
দেয় অভিশাপ কপালকে আর লেখাপড়া শেখার।
হতাশাতে ভোগার ফলে নৈতিকতা হারায় ,
জীবনতরী দেয় ভাসিয়ে ভিন্ন স্রোতের ধারায় ।
ঘোরাফেরা দেখলে কারো চোখও যেন টাটায় ,
ফাঁক খুঁজে কেউ তাদের আবার সস্তা দামে খাটায় ।
আলোর রেখা যায় হারিয়ে ,সামনে দেখে আঁধার ,
কেউ পোষেনা যত্নে তাদের যতই থাকুক দাদার ।
আয় ছাড়া রোজ খায় বসে তাই পায়না মোটেই আদর,
তার পরিচয় অনেকটা হয় লক্ষ্মীছাড়া বাদর ।
চায়না শ্বশুর কন্যে দিতে,নেই ছেলেটার কামাই,
বউয়ের কাছে নয় সে প্রিয়, হয়না ভালো জামাই।
বেকার মানেই চোখের বালি,তার ধারেটা কে ধার,
অর্থ ছাড়া মূল্য কোথায় সত্যিকারের মেধার ?
খুব জরুরি চাচা -খালু কিংবা কোনো মামার,
তা না হলে চেষ্টা বৃথাই, উচিত হবে থামার ।
ওদের নিয়ে ক’জন আছে এই সমাজে ভাবার ?
বরং তাদের কাজে লাগায় বানিয়ে গুটি দাবার ।
সাধ্য এবং সুযোগ যাদের চাকরিগুলো দেবার ,
ওদের দিকে হাতটা বাড়ান মনটা নিয়ে সেবার ।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতি-
আমি মোঃ সোহেল রানা সৈকত। ১৯৯৩ সনের ঢাকার সাভার থানার বনগাঁও ইউনিয়নের কোন্ডা গ্রামে দাদা বাড়িতে আমার জন্ম। নিজ গ্রামের প্রাথমিক শিক্ষা ও এস এস সি, সাভার কলেজে এইস এস সি পাশ করে সাভার পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারি পড়া আনকম্পিলিট রেখেই শিক্ষা জীবন শেষ করেছি। বাবা মোঃ হুমায়ুন কবির। মাতাঃ মোসাঃ মনোয়ারা ব্যাগমের দুই সন্তান এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে আমিই বড়ো। বর্তমানে ঢাকার অদুরে বিক্রমপুরে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করছি। বৈবাহিক অবস্থান সিঙ্গেল। ছোট বেলা থেকেই গুণীজনদের লেখা পড়ে পড়ে নিজেও কিছু লিখবার চেষ্টা করতাম। ২০০৪ সালে সর্ব প্রথম আমার লেখা “প্রথম প্রেমের ফল” কবিতাটি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ছুটির দিনের ম্যাগাজিনে ছাপা হয়। এখনও অবসরে একান্তে ছোট গল্প, কিছু মনের কথা এবং কবিতা লিখতে চেষ্টা করি। সকলের কাছে দোয়া চাই আমার জন্যে। আন্তরিক ধন্যবাদ সকল গুণী কবিদের।।