মানব রূপে অবতীর্ণ

-পুষ্পিকা সমাদ্দার

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

আমি পূর্বে ছিলেম কোথাকার! এই

ভূ-লোকে অবতীর্ণ হোলাম মানব রূপে আবার নিজের মনকে প্রশ্ন করে দেখো নীরবে,

হতবাক হই নিদারুণ ভাবনায় মোরা সবে।

দেহের মৃত্যু প্রকৃত সত‍্য ইহা নশ্বর,

আত্মার আগমন নানারূপে এ’যে অবিনশ্বর।

শতজন্মের পর মানুষ জন্ম কথিত সব কথা,

জন্ম হতে অদম‍্য লড়াই সয় শরীর কত ব‍্যথা।

আত্মার অভ‍্যন্তরেই ঈশ্বরের যে অধিষ্ঠান,

এর তরেই পরমেশ্বরকে কেউ দেখতে না পান,

মানব দ্বারা সব সম্ভব এই পার্থিব

জগতে নিত‍্য কত কর্ম মানুষ পারে স্বেচ্ছায় করতে।

প্রিয়জনকে চিরবিদায় দেয় সে সজল নয়নে কতটা মনের জোর বর্তমান তার মননে।

ঘরের মেয়েকে তুলে দেয় চিরতরে অন‍্যের নিকটে বাস্তবটাকে মানুষ মেনে নেয় নির্দ্বিধায় অকপটে।

সব জেনেও মাটির মূর্তি গড়েন কত কষ্ট করে,পূজা অন্তে বির্সজন দেয় তা জলের পরে।

আপন বলে কিছুই রয় না তার জগত সংসারে,তবুও তো মায়া মমতা থাকে তার অন্তরে।

মানুষ শ্রেষ্ঠ, বুদ্ধি বিদ‍্যায় জ্ঞানের দ্বারা পূর্ণ সব জীবের সর্বোচ্চ সে ধরায় মাঝে অনন‍্য।

নিজ অস্তিত্বকে বজায় রাখার অনেক প্রয়াসে,আমরণ সংগ্রাম করে স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচার অভিলাষে।

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

কবি পরিচিতি–

আমি পুষ্পিকা সমাদ্দার সামান‍্য গৃহবধূ, নিবাস কলকাতার নাকতলা অঞ্চলে।ভালো লাগে লিখতে কবিতা, বই পড়তে সঙ্গীতচর্চা ও সমাজ সেবা তাই এই কাজগুলো স্বেচ্ছায় করে থাকি, চলমান জীবন ছোট ছোট খুশি সকলের সনে ভাগ করে নেবার চেষ্টা করি।

 

 

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*