সিঁড়ি বেয়ে নেমে যাই
-অরুণ কুমার মহাপাত্র
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
দূরে কোথাও রাতচরা পাখি ডাকে
চাপা আর্তরবে…
ধ্বনিময় কী এক বার্তা ভেসে আসে
অলখ সংকেতে…
তবে কি কোন পরিস্থতির শিকার হবো
আমি একাকী… !!
না-না , পরিস্থিতি আপাতত ভালো থাক…
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুম খুঁজে ফিরে
একটা ভালো স্বপ্নের আশায় রই… ।
কিন্তু কোথায় স্বপ্ন… ঘুম আসে না…
কেবলই স্বগত সংলাপে উঠে আসে যত
দম্ভ-ক্রোধ-ঘৃণা-দ্বেষ-মায়া…
আর আমি সিঁড়ি বেয়ে ক্রমশঃ নেমে যাই
অন্ধকার সুষুপ্তির দিকে…
বেঁচে আছি আমি এখন বেকায়দায়…
রাস্তা থেকে পথ , পথ থেকে পন্থায়
পৌঁছাবো কি না কে জানে… ।
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
কবি পরিচিতি-
অরুণ কুমার মহাপাত্র, জন্ম ঃ ৬ ই ফেব্রুয়ারি ১৯৫১ পঃবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলা অন্তর্গত গোপীবল্লভপুর এলাকার সুবর্ণরেখা নদীতীরে শাশড়া গ্রামে কবির জন্ম। শিক্ষাক্ষেত্র ঃ ছয় হাজারি হাই স্কুল এবং ঝাড়গ্রাম ননীবালা বিদ্যালয় । ১৯৭৩ সালে মেদিনীপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপরে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার একটি মধ্য ইংরেজি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। শিক্ষকতা থেকে অবসর নেন ২০০৯ সালে। গ্রামের সখের যাত্রাদলে সুদীর্ঘ বছর যুক্ত থেকে গ্রামে গ্রামান্তরে অভিনয় করে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। লেখালেখিতে আগ্রহ থাকলেও পেশাগত অস্থিরতার চাপে সম্ভব হয়নি । অবসরের দশ বছর পর কলম ধরেন। বর্তমানে স্বকীয় রচনা শৈলীতে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করেন। বঙ্গীয় সাহিত্য দর্পণে প্রথম আত্মপ্রকাশ। স্বরচিত কাব্যগ্রন্থ ঃ সারা গায়েঁ ফুসুর ফাসুর (আঞ্চলিক ভাষায়) চলো নদীর কাছে যাই, মন তরঙ্গের ঊর্মিমালা, অরুণ আলোয়, প্রকাশের অপেক্ষায় আরো কয়েকটি।