জোছনা রাতে
-হাবিবুর রহমান
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
জানালার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে
গলে যায় জোছনা ঘরময় নরম মখমল বিছানায়,
রাত গভীরে দুঃখের পলেস্তারা
খসে খসে পড়ে সমুদ্র-নীলে ।
রূপোলি জলপ্রবাহে ভাসি অদৃশ্য এক মায়াবী টানে,
ছায়ার পাশে ছায়া,জ্যোৎস্নার ভেতরে অন্য এক জ্যোৎস্না,
বুকের পাঁজরে জড়িয়ে থাকে অন্তহীন এক মায়াকান্না,
বালুকাবেলায় দাঁড়িয়ে থৈ থৈ জোছনা জলে চাঁদ মুখ এঁকে দিলে
স্নিগ্ধ আলোয় ভরে যায় মায়াঘর।
পিচ ঢালা মহা সড়ক থেকে কালো রঙের পিচ গলে গলে পড়ে,
একগাল চকচকে হাসি টোলপড়া গালে
জ্যোৎস্না মাখানো ঠোঁট থেকে ঝরে পড়ে
সুগন্ধি শিউলির মতো রাত প্রহরে।
ছাদময় জমে থাকা শ্যাওলা স্তর ভেঙে
শ্রাবণের মেঘ ভেসে বেড়ায় নীল পাহাড়ে।
প্রজাপতি রং বাহারী ডানায় ফুলের সুঘ্রাণ,
চাঁদের কলঙ্ক রেখা অদৃশ্য হয় অন্ধকার পাতার নীচে।
হাতে হাত রেখে হাঁটি নির্জন ধূ ধূ মাঠে,
পাহাড়ী উপত্যকায় রূপোলি তরঙ্গ নাচে প্রেমের ঝরণা হয়ে,
তুমি আমি দু’জনে ডুব দিই অনন্ত নীলে ,
জোড়া শালিখ ঠোঁটে ঠোঁট রাখে পরস্পর,
নিমগ্ন থাকে গভীর আলিঙ্গনে,নিস্তব্ধ চরাচর।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি:
কবি শিক্ষকতার পেশায় নিযুক্ত।সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে স্কুল ম্যাগাজিনে কবিতা লেখায় হাতে খড়ি। নিয়মিত লেখালেখি করেন বিভিন্ন পত্র পত্রিকা,ম্যাগাজিন, অনলাইন পত্রিকা এবং বেশ কয়েকটি সাহিত্য পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আছেন। তাঁর কাব্যগ্রন্থ (১)”শতাব্দীর ব্যাধি”,(২) “সপ্তসুর” এবং প্রকাশিতব্য কাব্যগ্রন্থ (১) “জলসিঁড়ি” (২) “ফেরারী মেঘ”।