মানবাধিকার কাদের জন্য?
-আবুল হাসমত আলী
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
প্রাণীকুল, উদ্ভিদকুল প্রকৃতির অংশ,
তারা সবাই স্বাধীন, খুব প্রাণবন্ত।
প্রকৃতি তাদের বাধা দিতে অসম্মত,
তাই তারা ইচ্ছেমত হচ্ছে বিকশিত।
তাদের বিকাশ শুধু নয় দেহকোষে,
সেই মতো মানবের বিকাশ ঘটেছে।
মানুষের সর্বদিকে শ্রীবৃদ্ধি লক্ষিত,
বুদ্ধিমত্তার বিকাশ সেথা বিকশিত।
তাই মানুষের মধ্যে আছে বিরোধিতা,
আছে তাদের ভীতর উগ্র জাতীয়তা।
তাই দেখি দেশে দেশে কোলাহল দাঙ্গা,
লঙ্ঘিত হচ্ছে সর্বদা মানব মর্যাদা।
সভ্যতার শীর্ষে থাকা ওই যে দেশগুলি,
প্রয়োজনে করে তারা কথা বলাবলি।
আলোচনা শেষে আসে মানবাধিকার,
মানুষের রক্ষা করতে হবে অধিকার।
সেইমতো তো তৈরি হয় খাসা এক সংস্থা,
সবাই রাখে দারুন সেথা খুব আস্থা।
ঠিক ঠিক কাজ করে হয় প্রশংসিত,
শুধু প্রভাবশালীদের দ্বারা তারা ক্রুব্ধ।
কিন্তু রাগ দেখানোর উপায় যে নাই,
তাই মানবাধিকার যে লঙ্ঘিত হয়।
শরণার্থী হয়ে পড়ে রাষ্ট্রের নিয়মে,
এটা কেমনভাবে পড়ে মানবাধিকারে।
যুদ্ধের বলি তো বহু, কে দায়ী সেথায়?
কি কাজ হচ্ছে সেথায়, জীবন রক্ষায়?
সন্ত্রাসী হামলা খুব নিন্দনীয় ভাই,
রাষ্ট্র যখন সন্ত্রাসী, জবাব কে দেয়?
দুর্বল রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে থাকে প্রতিবাদী,
সবল রাষ্ট্রের কারা সাহসী বিরোধী?
তাই মানবাধিকার কি রক্ষিত হচ্ছে?
বারবার সেটা কেবল পড়ছে পদতলে।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি:
আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি প্রত্যাশী।