আচার বিচার
-আবুল হাসমত আলী
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
এক যে ছিল খুঁতে ছেলে_
খুঁতখুঁতে তার স্বভাব;
মেজাজটি তার খিটখিটে ভাই_
ভিন্নরকম হাবভাব।
খাওয়া দাওয়া চালচলনে_
সে ভীষণ উন্নাসিক;
শাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী_
চলা তার যে বাতিক।
সারাক্ষণ সে চর্চা করে_
আচার বিচার নিয়ে;
পাশের বাড়ি অতিষ্ঠ হয়_
তার কবলে পড়ে।
তার ব্যবহার এমনি যে_
বাড়ির লোক হয় ক্ষিপ্ত;
কিন্তু নীরব থাকে সবাই_
কারণ সেই তো জ্যেষ্ঠ।
তাইতো বাড়ির লোককে সদা_
থাকতে হয় সতর্ক;
না হলে তো সে অযৌক্তিক_
করে খুব বিতর্ক।
দিনের পর দিন নানান ফ্যাশাদ_
চলছে তাকে ঘিরে;
নানারকম সংস্কার আর_
অযৌক্তিক বিচারে।
ঘরের গাছে কাক বসেছে?
ভয়ানক অশুভ!
বিড়বিড় করে মন্ত্র পাঠে_
তা হয়ে যায় শুভ।
শুভ কাজে বেরিয়েছে?
কে ডাক দেয় পিছনে;
আর হলো না সেথা যাওয়া_
ভূত যে তারে টানে।
তার কাছে তো অনেকে যায়_
বোঝানোর কারণে;
কিন্তু তারা ফিরে আসে_
শাস্ত্রের কথা শুনে।
এমনি করে পৌঁছে যায় সে_
সবার আলোচনায়;
এখন তাই সে নিজেকে খুব_
করে বাহবা দেয়।
গাছের ডালে বানর সকল_
করে হাসাহাসি;
তবু তার নেই পরিবর্তন_
সে যে ধর্মচাষী।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতি:
আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি প্রত্যাশী।