সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস
-অভিজিৎ হালদার
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
সমস্ত দার্শনিকের জীবাশ্ম থেকে
আমার পথ চলা
সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাসের মতো বাড়ন্ত
চোখের ভেতর নীল মণির চঞ্চল গতি
প্রতিটি অট্টালিকায় ইটের সাজানো
কিংবা শহরের বুকে বসন্ত নেমেছে
মৃত্যুকে উপহার দিতে
গাছেদের অস্তিত্ব জুড়ে আমার সমস্ত প্রহার দূরের সীমানায় শীতকালের নিস্তব্ধতা
আকাশের চাদরে রং মিছিল
চিনিয়ে দেয় বসন্ত আসতে চলেছে
কবেকার স্মৃতির মানচিত্রের পাতায়
আমার বঞ্চিত সমবেদনা জুড়ে
কয়েকটি ভিনদেশী হলুদ পাখির ডানা বেয়ে
এই পৃথিবীর মরু-সাগর বীরত্বের কথা বলে প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসের জীবাশ্ম থেকে।
মানুষের প্রতিটি আঙুলে
বসতবাড়ি গড়া হচ্ছে মৃত মানুষের হাড় দিয়ে মালা পরাবার সময় তাদের শেষ হয়েছে
সমুদ্রের স্রোতের বিন্দুর বদনামীতে ,
মাঠ জুড়ে এখন সরিষার ফুল হলুদ হয়ে
আমি পথ হারায় যোগাযোগের ছিন্ন তারে টেলিগ্রাফের পোস্ট জুড়ে শহর আজ বেনামী তবুও আমি প্রচুর অভিমানী।
সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাসের রেখা জুড়ে
আমি এক গ্রেপ্তারি নাগরিকে পরিণত হয়েছি এই পৃথিবীতে কেউ কারো জন্যে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে চায় না
তবুও আমি বিনা স্বার্থে চাষ করি এক নাম না জানা ফুলের।
মৃত্যু : সমস্ত দেনা পরিশোধ করতে পারে না
জন্ম : সমস্ত মানুষকে একদিন বঞ্চিত করে
–যেমন , দাঁড়িয়ে থাকা গাছেদের জীবন আছে
–তেমনি , জীবন্ত এক ডায়েরির নাম: নীল ডায়েরি।।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
লেখক পরিচিতি:-
লেখক অভিজিৎ হালদার এর জন্ম নদীয়া জেলার অন্তর্গত মোবারকপুর গ্রামে। ছোট থেকেই লেখালেখি করতে পছন্দ করেন, তাই তিনি বিভিন্ন পএ পত্রিকার লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। মূলত তিনি কবিতা, ছোট গল্প , বড়ো গল্প , এবং মাঝেমধ্যে উপন্যাস, নাটক ও অন্যান্য কিছু লেখার চেষ্টা করেন। লেখকের প্রথম কবিতার বই – “প্রথম আলো” বর্তমানে তিনি নদীয়া জেলার অন্তর্গত মাজদিয়া সুধীরঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ।