পায়েসের কেচ্ছা

-আবুল হাসমত আলী

⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔

কি ভীষণ স্বাদ লোকে বলে,

এর এক চামচ মুখে দিলে,

সত্যিই হৃদয় ভরে;

নকশা করা প্লেটটি ভরা,

এ জিনিস ভাই নজর কাড়া,

ছেলে বুড়ার তরে।

গরিব লোক আর বড়লোক ভাই,

সবাই লোভের সাথে তাকায়,

যখন আসে প্লেটটি;

দুধ আর নারকেল বাদাম পেস্তা,

কিসমিস কিংবা অন্য মসলা,

সবই থাকে খাঁটি।

উৎসবে আর উপলক্ষে,

সহজ উপায় সবার পক্ষে,

এটা তৈরি করা;

তাইতো বন্ধু এটার আদর,

ঘরে ঘরে আছে কদর,

সত্য, নয় মনগড়া।

ছেলের জন্ম মেয়ের ভুজ্নো,

সব ক্ষেত্রতে এর গুরুত্ব,

ভীষণ চোখে পড়ে;

এটা ছাড়া উৎসব পালন,

জন্মদিন হোক বা বিনোদন,

হয় ভীষণ ম্যারমেরে।

গৌড়চণ্ডীকার আর নেই দরকার,

জিনিসটা কী? জানা সবার,

নলেন গুড়ের পায়েস;

এখন ভাবছেন পাবেন কোথায়?

বৌদিদের মন ভোলানো চাই_

গল্প করে বেশ।

মনের ইচ্ছে ব্যক্ত করুন,

পায়েসের দেন খুব বিবরণ,

হাসবে বৌদি শুনে;

কয়েক ঘন্টা পরে দেখুন,

পায়েস পড়ে পাতে তখন_

খুব তৃপ্তি হয় মনে।

⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔

কবি পরিচিতি:

আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি প্রত্যাশী।

 

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*