হিসাব

-অনিল কুমার পাল

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

জীবনপঞ্জি থেকে হারিয়ে গেল একটি বর্ষ,

রাত পোহালে আসবে নতুন বছর দিচ্ছে উঁকি।

জীবন যুদ্ধে প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তির হিসাব রয়ে গেল বর্ষের মাঝে। বাৎসরিক হিসাব নিকাশ নিয়ে ব্যস্ত ব্যাংকাররা লাভ লোকসান হলো কি যে।

দিবানিশি হিসাব করছি মোরা কোনটার পাল্লা ভারী,

লাভ অথবা লোকসান নয়তো কারি কারি

কিংবা প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি।

জ্যোতিষী নতুন পঞ্জি লিখছে তিথি গণনা করি,

নতুন বছর কোন আঙ্গিকে কাটবে তারই পূর্বাভাস

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে।

আগাম খবর জানতে তাই চোখ রাখছি পঞ্জিকাতে,

বিজ্ঞানীরা গবেষণায় সাফল্য পেলো বছরেরতে কি?

আগামীতে সাফল্য আসবে কিসে তারই বাজেট কষে বেশি।

নব নব সৃষ্টির ধারায় করবে তারা জগৎবাসীর উন্নয়ন ধারা, গবেষণায় মত্ত তারা দিবা নিশি ক্রমাগত ভাবছে তারই অধ্যবসায় চলছে ধারা।

সমাজ সংসার নিয়ে আমরা হিসাব করছি তাও তো কম নয়, প্রিয়জনের বিয়োগ ব্যথায় কাতর হিসাব পঞ্জিকায়,

সাফল্যের পালক ডানা মেলে কেউবা হাওয়ায় উড়ছে আবেগ মেলে।

প্রকৃতি ও দিচ্ছে সাড়া পুরাতন জরাজীর্ণ,

পাতা ঝেড়ে ফেলে।

নবপত্র পল্লবে করলো মঞ্জুরীতে দৃশ্যের ধারা।

দেশ হারালো বুদ্ধিজীবী, জ্ঞানীগুণী তার হিসাব কমও নয়, সৃষ্টি নিয়ম নীতি ঘূর্ণিয়মান মেনে চলতে যে হয়।

সবকিছুকেই ভুলিয়ে গিয়ে এগিয়ে যাব মোরা,

নতুন বছরে আসবে মোদের উন্নয়নের বারোতা নিয়ে, সকলের জীবনে আসবে সাফল্য প্রাপ্তির ঝুলি হবে পূর্ণ।

এই কামনায় ২০২৩ বরণ করবো মোরা।

ধন-ধান্যে, পুষ্প ভরা পুষ্টি খাদ্য অনাহার সব যাবে দূরে, সাফল্য আসবে সবার তরে এই কামনায় করি মোরা।

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

কবি পরিচিতিঃ

অনিল কুমার পাল, পিতা-মৃত দ্বিজপদ পাল, মাতা মৃত রেনু বালা পাল, তিনি (বাংলাদেশের) মাগুরা জেলার অন্তর্গত পুটিয়া গ্রামে ১০ জানুয়ারি ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিশেষায়িত ব্যাংকে অডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন। অবসরে অনলাইনে লেখালেখি করেন, তার বেশ কয়েকটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*