শত বর্ষ পরে
-সিরাজুল ইসলাম মোল্লা
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
শামসুর নজরুল রবীন্দ্রনাথ উত্তরসূরী আমি,
কহিব কথা পাঠকে আজ হতে শত বর্ষ পরে।
মুছে যাক বা না যাক ধরণীর বেনামি প্রণামী,
শুনাব আমি প্রিয় কবিতা প্রতিটি পংতি ধরে।
আজ যদি কেহ বুঝে থাকে আমার ই কবিতা,
নিশ্চয় শত বর্ষ পরে বুঝে নিবে অব্যক্ত ব্যথা।
চেতনায় জানিয়ে দিলাম অন্তঃশুভেচ্ছা বার্তা,
সেদিনের পাঠকের করে আজকের গণকথা।
আসব ধরণী যুগে যুগে আন্দোলন সংগ্রামে,
যত অনাচার নাশিতে সাম্যের গান গাহিতে।
রবো এমনি মসজিদ মন্দিরে প্রার্থনা সংযমে,
গাহিব জীবনের জয়গান ভক্তের অঞ্জলিতে।
আঁকা বাঁকা মেঠো পথ বয়ে পীচ ঢালা পথে,
আসব কোন এক বিকেলে সুপ্রিয়ার মগনে।
সেদিনও আজকের মত চায়ের আড্ডা হতে,
হবে রাজনীতি কি প্রেম নিয়ে বিতর্ক যতনে।
জোনাক হয়ে আলো দেবো পথের পথিকে,
প্রজাপতি হয়ে মন রাঙাব প্রেমির জীবনে।
ঝিঝির মতই গান শুনাব সেদিনের কবিকে,
ঘাস ফড়িং হয়ে উড়ব শ্রীবর্ধণ করি ভুবনে।
গুচ্ছ ফুল নিয়ে শুভ্র প্রেমে স্বাগত জানিয়ে,
আসব পূর্ণিমায় সাথি হারা সাথিদের পাশ।
সেদিন মৃদু বাতাস বয়ে যাব বাতায়ন দিয়ে,
সেদিনও তারা হয়ে জ্বলব সাহিত্য আকাশ।
রূপচাঁদা হয়ে কাটব সাঁতার নীলাভ সাগরে,
কৃষ্ণচূড়া হয়ে ফুটব পথে পথে শোভা দিতে।
বটবৃক্ষ হয়ে পথ দেখাব পথ হারা পথিকরে,
বাজপাখি হয়ে উড়ব মুক্ত আকাশ খুঁজিতে।
শত বর্ষ পরে এমন করে ভালবাসে যদি কেউ,
সুরের মূর্ছনায় শুনিয়ে যাব গান প্রতি হৃদয়ে।
বলাকা হয়ে রুদ্র সাগর জয়ে পাড়ি দেব ঢেউ,
পাবে ফিরে নদীর তীরে শুধুই কাশফুল ছুঁয়ে।
বিবর্তনশীল পরিক্রমায় সবই হবে পরিবর্তিত,
আজকের কবিতা স্মৃতি চারণ করবে সেদিন।
শত বর্ষ পর হয় যদি কেউ সহমতে অনুপ্রাণিত,
স্বার্থক হবে সেদিন কবির কবিতা হয়তো ক্ষীণ।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিত-
কবি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, পিতা আব্দুল মান্নান মোল্লা, মাতা হাজেরা বেগম। জন্মঃ বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অন্তর্গত রামপাল ইউনিয়নের জোড়ার দেউল গ্রামের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ ছয় ভাই ছয় বোনের মধ্যে কবি ১১ তম। উত্তরসূরী হিসেবে স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। ১০ বছর বয়স হতেই লেখালেখির হাতে খড়ি। তিনি প্রথম আলো ব্লগ সহ অন্যান্য ব্লগে লেখালেখি করেন (২০১০ ইং – ২০১৪ ইং) এবং ফেইসবুকের বিভিন্ন অনলাইন সাহিত্য গ্রুপে লেখালেখি সহ বর্তমানে সাহিত্য চর্চায় নিবেদিত আছেন। এছাড়াও পছন্দ দাবা, আড্ডা দেওয়া ও লেখালেখি করা।