বিবর্তন
-বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল
≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠
সমবেদনা,সহানুভূতি, কৃতজ্ঞতা
সুন্দর শব্দ গুলো দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে
সমাজ সংসারের অভিধান থেকে।
অপভ্রংশে এসেছে কত নিত্য নতুন শব্দবন্ধ
হুটাপাটা, চট্ পট্, ঝট্ সে আরো কত কি ?
দুর্ঘটনায় কেড়ে নিচ্ছে সহস্র তাজা প্রাণ
সেদিকে কারো হুঁশ আছে কি ?
প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে রাস্তায় আহত
এখন তার ঐ নিথর মানব দেহটা
অনেক সময় ধরে রাজ পথেই শায়িত ।
সেদিন দুর্ঘটনাগ্রস্ত অসহায় মানুষটিকে
কেউ দেখেও যেন, দেখতে চায় নি তাকে।
সেলফি তোলার সময় অনেকেই পায়
তারা পড়তে চায়না তো কেউ স্পটে নাকি ?
থানা পুলিশের অহেতুক ঝুটঝামেলায়।
দ্রুততার সহিত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে
হয়তো বেঁচে ফিরতেও পারতো ঘরে !
না, জীবিত নয়, কালো পলিথিনে মুড়ে
শত কাটা ছেঁড়ার পরে,
হাসপাতালের লাশকাটা ঘর ঘুরে ঘুরে
আজ লাশ এসেছে নীরবে আপনার ঘরে।
≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠≠
কবি পরিচিতি-
নব প্রজন্মের কবি শ্রী বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ( পিতা শ্রী যুত্ বাদল মণ্ডল ও মাতা শ্রীমতী শীতলা দেবী ) মহাশয়ের জন্ম পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত গদীবেড়ো নৈসর্গিক গ্রামে। গ্রামের পটভূমিতে রচিত হয়েছে প্রকৃতি প্রেমী বিভূতি ভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অতি প্রাকৃত গল্প ‘ রঙ্কিনী দেবীর খড়গ ‘। কবি পেশায় শিক্ষক ও নেশায় বাগান প্রেমী । তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত পরমানন্দপুর রমানাথ বিদ্যাপীঠ এর সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত আছেন। শ্রী শ্রী রামচন্দ্র আর্দশ বিদ্যালয়, গদীবেড়ো থেকে পড়াশোনার সাথে সাথে বিদ্যালয় পত্রিকা ‘ ধ্রুব তারা ‘ য় প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশিত হয়। প্রথম কাব্য গ্রন্থ অনুভব , অনুরণন ও অপরাহ্নের প্রেয়সী ( পঞ্চবান শৈলীতে ) , অনুরাগ ( হাইকু শৈলীতে ) , অনুভূতি ( বত্রিশা অণু গদ্য কবিতা শৈলীতে ) , অনুভা ( অনুভাষ শৈলীতে ) কাব্য সংকলন প্রকাশিত হয়েছে । একাধিক সাহিত্য পত্রিকার যৌথ, শারদীয়া ও বই মেলা সংখ্যায় লেখা প্রকাশিত হয়ে আসছে। এযাবৎ পুরুলিয়া জেলা থেকে প্রকাশিত সরাক বার্তা, সংহতি,মানভূম মহালয়া সংখ্যা -১৪২৯, এবং অন্তর্দহন,শঙ্খ চিলের ভাষা ও শিল্প জগৎ শারদীয়া ই – পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। কবিতার পাতা ডট কলমের পাতায় একাধিক কবিতা রয়েছে। সকল প্রিয় পাঠক আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নেবেন ।
খুব ভালো লাগলো।
খুব সত্য কথা বলেছেন।
বেশ।