নিকনো উঠোনে
-শ্যামল কুমার মিশ্র
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
নিকনো উঠোনে রোদ্দুর এসে পড়ে
এঁকে যায় অ আ ক খ
একুশের প্রথম প্রভাতে
রফিক বরকত গেয়েছিল সেই গান
‘মোদের গরব মোদের আশা,আ-মরি বাংলা ভাষা’…
নিকনো উঠোনে ছবি পিসি গেয়েছিল ঘুমভাঙানিয়া গান
একুশের সুরে সালামের ভাষায়
পদ্মা পারে সে সুর আজো বাজে
মানুষের প্রাণে, জীবনের গানে
নিকনো উঠোনে ছায়া নেমে আসে
শাসকের বারুদের গন্ধে ভরে ওঠে চারিদিক
ভাষা হারায় শাসকের বেয়োনেটে
মাতৃভাষা তবুও জ্বলজ্বল করে
আঁধারের বুকে মাণিক হয়ে জ্বলে অ আ ক খ
নিকনো উঠোনে আঁধার নেমে এলে
ঢাকা পড়ে চাপ চাপ রক্তের দাগ
মূঢ় রাষ্ট্র কেড়ে নিতে চায় প্রতিবাদের ভাষা
টেট পাশ যুবকেরা তবুও স্বপ্ন দেখে
হাজারো রাত্রি শেষে নতুন একুশের ভোরে…
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি:
সাহিত্যকে ভালোবেসে কিছু লেখার চেষ্টা। কখনো তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের এক প্রত্যন্ত প্রান্তে আমার জন্ম। গ্রামবাংলার মেঠোপথে কেটেছে শৈশব। তারপর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। লেখার অভ্যাস সেই ছোট বেলা থেকে। রামকৃষ্ণ মিশনে তা এক ভিন্ন মাত্রা পায়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণরসায়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন। বিদ্যাসাগর রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত বিদ্যাসাগর প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় দুবার শ্রদ্ধেয় সন্তোষ কুমার অধিকারীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে। শিক্ষকতাকে ভালোবেসে প্রায় ৩৪ টা বছর কেটে গেছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে অন্যতম প্রাপ্তি “দ্রোণাচার্য্য” পুরস্কার। ভালো লাগে পড়তে, লিখতে আর মানুষের মাঝে সময় কাটাতে। আর তাই সৃষ্টি “মনীষী চর্চা কেন্দ্রের” যা মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিক মনন গড়ে তুলতে সদা সচেষ্ট। সাহিত্যের মাঝে বুক ভরে শ্বাস নেওয়াতেই আমার আনন্দ …