বসন্ত এলো রে
-বিজয়া মিশ্র
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
রঙের মাতনে অন্য এক আলোয়
আজ তোমাতে আমার নিমন্ত্রণ,
প্রথম ভোরে মাটির নিকানো দ্বারে
এসো বসন্ত ভ’রে দাও তনুমন।
ছড়ানো সজীব পলাশ এনেছি আঁচলে
বসন্ত শিখা অবিরত দেবে পরিমল
নরম আলতো বাতাসে পূবালী লালিমায়
কলতানে জাগা সবুজেরা যেন বিহ্বল।
রঙ শুধু রঙে মুছে দিয়ে জীর্ণতা
উৎসব এনে রাঙালে নিভৃত বাসর
তোমাতে আমার অলিখিত দিনলিপি
রবে কৃষ্ণচূড়ার আলোয় বছরভর।
লাল, হলুদ, গোলাপি, বাসন্তিকায়
যেন কোলাহল সুরের আবেশ জাগায়,
ভিড় করে থাকা অশোকের সান্নিধ্যে
কবরীতে কলি আলোর উজান বায়।
যত কথা ছিল মিলেছে রঙের শিখায়
যত রঙ দিলে প্রথম আঁজলা ভ’রে
যত রঙ চেনা-অচেনা উচ্ছ্বলতায়
যত রঙ আছে মিশে যাক এ প্রহরে।
সবটুকু হোক ব্যক্ত সাহসিকতায়।
রাখো হাতে হাত পলাশের বন্ধনে
দিগ্বিদিকে রঙের যে স্বরগাথা
বিবর্ণতা ঢেকে দিলে এই ক্ষণে।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতি:
আমি বিজয়া মিশ্র। আদি নিবাস পূর্ব মেদিনীপুরের একটি গ্ৰামে। গ্ৰাম্য উন্মুক্ত পরিবেশের বৈচিত্র্য মাঝে আমার বেড়ে ওঠা, লেখাপড়া এবং লেখালেখির সূত্রপাত ।স্কুল শেষ ক’রে কলেজ, বাংলা বিভাগে স্নাতক( মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর মহাবিদ্যালয় থেকে),জুনিয়র বেসিক ট্রেনিং-সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন থেকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এড, এবং অন্যান্য কিছু ডিপ্লোমা, ডিগ্ৰী ও সোস্যাল স্টাডিজ নিয়ে পড়াশুনা, মেডিকেল এরিয়ায় শিক্ষিকা ও অন্যান্য পদে অন্ততঃ পনের বছর অতিবাহিত ক’রে বর্তমানে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরতা এবং কলকাতার যাদবপুরে বসবাস করি।
নমস্কার, ধন্যবাদ।