ওরা শিখিয়েছে
-আবুল হাসমত আলী
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
ওরা শিখিয়েছে_
পৃথিবীর সম্পদে তোমার অধিকার নেই।
অপরের সম্পদে দৃষ্টি যেন না যায়।
চলাফেরার মধ্যে যেন সরলতা খুঁজে পায়।
দুষ্টু বুদ্ধি যেন না থাকে মাথায়।
ওরা শিখিয়েছে_
ওদের কাজকে ভালো বলতে হবে।
ওদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে।
ওদের নগ্ন সত্যকে হবে ঢাকতে।
হবে ওদের মাথায় তুলে রাখতে।
ওরা শিখিয়েছে_
ওরা করে যাবে তোমার সর্বনাশ।
তবু থাকবে তুমি একান্ত ওদের দাস।
রাম রাজত্ব চালাবে ওরা বারোমাস।
ওদের কাজে সর্বদা বলবে সাবাস।
ওরা শিখিয়েছে_
তোমায়, সর্বদা করবে ওদের মনোরঞ্জন।
ওদের বিরুদ্ধে তোমার চলা ভীষণ বারণ।
নীতিকথা উচ্চারণ কোরো না অকারণ।
ওদের বিরুদ্ধে করবে না জনসচেতন।
ওরা শিখিয়েছে_
ওরা থাকবে সমাজের বুকে মান্যগণ্য।
ওরা থাকবে অহংকারে পরিপূর্ণ।
সমালোচনা করলে তুমি হবে জঘন্য।
ওরা ছাড়া সমাজে সবাই নগণ্য।
ওরা শিখিয়েছে_
নতুন ভাবে দেশ প্রেমের কথা।
দেশদ্রোহী হবে করলে তার অন্যথা।
তখন তুমি নিন্দিত হবে ওদের দালাল দ্বারা।
সদা তোমার ললাটে ঝুলবে ওদের খাঁড়া।
ওরা শিখিয়েছে_
তোমাকে, গুণীদের সম্মান কেড়ে নিতে।
ওদের হৃদয়ের স্বদিচ্ছাকে মেরে ফেলতে,
যারা ভরায় না ওদের প্রশংসাতে,
যারা শুধু পূজা করে মানবতাকে।
ওরা শিখিয়েছে_
জ্ঞানীদের লেখা ইতিহাস মুছে দিতে।
ওদের কথামতো হবে ইতিহাস লিখতে।
তাই বলে উপহাস করা যাবে না প্রকাশ্যে।
ওরাই সিদ্ধ , ঋদ্ধ_তা হবে সবাইকে মানতে।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি:
আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি প্রত্যাশী।