হৃদপিণ্ড থামিয়ে দেয়
-মাহফুল আখতার জাহান
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
আবেগের অতিশয্য
ভালবাসার মারনাস্ত্র হয়।
দরদের ঘর গৃহস্থালি -বনেদী অতীত
অবিশ্বাসের জোয়ারে ভাসিয়ে নেয়।
দেহ মন কাঁদে মানবিক জ্বরে
বুকের বোতাম খুলে সে কান্না
কাউকে দেখানো যায় না
ইথারের আঁধারে হোচট খায়।
নিকট জনের নির্মমতার কবোষ্ণঠৌঁট
ভরা নৌকার ফসল ডুবিয়ে দেয়।
দুঃসময়ের দুরন্ত কুমির ভালোবাসার খরশ্রোতা নদীর জল শুকিয়ে দেয়।
সহমর্মিতার – সৌহার্দের জোয়ারে
ভাটার আয়োজন ওঁত পেতে থাকে।
অবিশ্বাসের বালিতে ভরাট হয়
আদরের ফসলী আবাদি জমি।
এমন স্বজন বিমুখ দিনে
অ জানা আতংকে কাছের মানুষেরা দুরে চলে গেলে
অসহায়ত্বের বাঘটা যেন
খাবলে খাবলে হৃদপিণ্ড থামিয়ে দেয়।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি :
৮০ র দশকের দক্ষিণ বঙ্গ অর্থাৎ বাংলাদেশের খুলনা জেলার একজন শক্তিমান কবি।৯০ এর দশকে কবি শামছুর রাহমান, নির্মলেন্দু গুন,আসাদ চৌধুরী, কাজী রোজী, আইফার রাহমান সহ অনেক প্রথিতযশা কবিদের সঙ্গে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন এ রাজপথে থেকে কবিতা লিখেছেন। খুলনা বেতাররে ৯০ এর দশকে বিশেষ দিবসে কবিতা পড়েছেন।৫ টি কাব্যগ্রন্তসহ অনেক লেখা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।দীর্ঘদিন খুলনার বিখ্যাত” দৈনিক পূর্বাণ্চল” পত্রিকার সাহিত্য পাতা সম্পাদনা করেছেন। সমাজ হিতৈষী অনেক কাজের সাথে জড়িত কবি ডবল এম এ ডিগ্রি নিয়ে শিক্ষকতা পেশা থেকে সবেমাত্র অবসর নিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের জননী। সন্তানরা প্রতিষ্ঠিত পেশায় কর্মরত।আজীবন নির্ভীক,প্রতিবাদে মুখর একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক। দেশপ্রেম, সামাজিক অনাচার তার লেখার প্রধান উপজীব্য। বর্তমানে উত্তর বঙের রাজশাহী জেলায় বসবসরত।