বাংলার গণদেবতা
-অমর দাস
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
চারিদিকে অনাচার,সততার আকাল,
বঙ্গ গণদেবতারা ঘুমে রবে কত কাল?
যাদের পাঠালে তোমরা আজ ক্ষমতায়,
ক্ষমতার অলিন্দেতে তারা সম্পদ বাড়ায়।
মানুষের জোটেনা খাদ্য বস্ত্র ও বাসস্থান,
নেতাদের ঘরে টাকা মেলে পাহাড় প্রমাণ।
হে গণদেবতা তবুও তো তোমরা ঘুমাও ।
বজ্র কঠিন প্রতিবাদে সবারে জাগাও।
ক্ষমতা ছিলনা নেতার সাইকেল কেনায়,
সেই নেতাই দামী গাড়িতে ঘুরে বেড়ায়।
যে গণদেবতার ভোটে নেতারা বলিয়ান,
ভোটের পরে নেতারা তাদের ভুলে যান।
দুর্ণীতির ঘুষের টাকায় নেতার বাড়ি হয়,
গরীব গণদেবতারা যে গৃহহীন হয়েই রয়।
সরকারী ঘরের টাকা গৃহহীনেরা না পায়,
সে টাকা লুঠ করে নেতা প্রাসাদ বানায়।
বোকা গণদেবতাদের তবু ঘুম ভাঙেনা
আন্দোলন ছাড়া যে অধিকার মেলেনা।
যোগ্য তরুণদের চাকরি অর্থে বিকে যায়,
নেতার ক্ষমতার দম্ভে তাদের স্বপ্ন হারায়।
বোকা জনগণ তবু কেন এখনো ভাবেনা?
দুর্ণীতির বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ করেনা।
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড সে শিক্ষা আজ,
ডুবে যাচ্ছে শিক্ষা,তবু চুপ এ বঙ্গ সমাজ।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য নাই ডাক্তার মেলেনা।
ওষুধ, রক্তের অভাবে রোগী যে বাঁচেনা।
শাসক ভোলে নীতি ভুলেছে দেশপ্রেম।
নেতারা করছে দুর্ণীতি ,অত্যাচার চরম।
অশনি সংকেত গণতন্ত্রে এই অত্যাচার।
গণদেবতারা জাগছে ,জাগছে যে এবার।
মানুষের গণজোয়ারে শাসক যে পালাবে।
এ বঙ্গচোর নেতার পাশে কেহ না রবে।
কবি যে গণদেবতাদের ডাক দিয়ে যায়।
বাঁচাও এ বাংলা আজ বাংলা অসহায়।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
::কবি পরিচিতি::
আমার কবি পরিচিতি:-জন্ম পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার ধুবুলিয়াতে 14/04/59 সালে তারিখে। ঘটনাচক্রে 1966 সালে নদিয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরে চলে আসা এবং বর্তমানে এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করা। ছোটবেলা থেকে কবিতা লেখার ইচ্ছে। কিন্তু আজকের মতো নিজেকে তুলে ধরার মতো কোনো মাধ্যম ছিলোনা। বর্তমানে পারিজাত সাহিত্য পত্রিকা, প্রাঙ্গণ সাহিত্য পত্রিকা, ভাবনা, আনন্দলোক,আনন্দমঠ, কোলকাতা সাহিত্যাঙ্গন প্রভৃতি অনেক সাহিত্য পরিবারের নিয়মিত কবিতা লিখি। বিভিন্ন সাহিত্য পরিবার থেকে বহু সাম্মানিক সনদ পেয়েছি।