চিলেকোঠা
-শান্তি দাস
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
বিধাতার দান দিয়েছে নারীর অঙ্গে শোভা,
নারীরা যে চিরকাল অত্যাচারীত হয়ে ও থাকে অপেক্ষায়।
চিরদিন বঞ্চিত হয়ে পেয়েছে শুধু শোষন আর শাসন,
তবে সবাই নিশ্চিত যুগের বদলে হবে সমাজের বদল।
এই পৃথিবীতে ভরে গেছে পিশাচের দল নেই নিরাপত্তা,
আমার চিলেকোঠা জানে আমার মনের ক্ষত দাগের কথা।
বড় আশা নিয়ে জানে সব ব্যর্থ প্রেমের অভিমান রাগ,
দিকে দিকে শুধু লোভ লালসার স্বীকার করতাম পাগলের প্রলাপ।
এতটা তো চায়নি ব্যথা আর মানুষের মুখে বিহ্বলতা,
চেয়েছিল আরো কিছু কম এতো শোভা এতো স্বাধীনতা।
চোখের সামনে পড়ে থাকতে দেখেছি তোমার দেওয়া ছিঁড়ে গোলাপ,
প্রহরের প্রহর কাটতো বেলা এই চিলেকোঠা ঘরের মধ্যে।
আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে দেখেছিল রূপের বাহার,
আঘাত ও ব্যথা বেদনা ঘিরে আছে মনের মাঝে বিরাট পাহাড়।
নিশুতি রাতে নিস্তব্ধতায় টুকরো স্মৃতি গুলো ভীড় করতো,
চিলেকোঠা বলে উঠতো তোর জন্য নয় এমন ভালোবাসা।
অতটুকু চায়নি বালিকা শুধু চেয়েছিল একটু ভালোবাসুক,
চিলেকোঠায় বসে থাকা সবটা দুপুর চেয়েছিল মা বাবা তার বেদনা দেখুক।
অত হৈ রৈ অত সমাগম বুকের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য সময় দিক এখনি,
ভালোবাসার অদূরে চেয়েছিল কম শুধু চেয়েছিল একটি পুরুষের মুখে বলুক রমনী।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
শান্তি দাস, এম এ (এডুকেশন), সরকারি বিদ্যালয়ে বিষয় শিক্ষিকা, খোয়াই, জাম্বুরা , আগরতলা, ত্রিপুরা।