রাই কিশোরীর ব্যথা
-ইন্দিরা দত্ত
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
মাধবী বিতানে রাধিকা চলেছে মনে লাগে তার দোলা,
কুঞ্জবনের আলাপচারিতা যায় না তো হায় ভোলা।
প্রথম প্রেমের প্রেমানুভূতিতে শিহরণ জাগে মনে,
রাইকিশোরীর নূপুর ছন্দে বেজে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।
দখিনা বাতাসে ছড়ানো আবিরে নেশা কেন হায় টানে?
কদম তলায় কানু খুঁজে ফেরে পলাশের ঘ্রাণে ঘ্রাণে।
উচাটন মন বাঁশির সুরেতে দিকে দিকে পড়ে সাড়া,
প্রেমানুভূতির মন আঙিনায় বহিছে ফল্গুধারা।
আবিরের রঙে লাজে রাঙা হয়ে একাকিনী ঘরে রাই,
অভিমান তার হয়েছে আজিকে প্রিয়তম কাছে নাই।
ঝরাপাতাদের মর্মর ধ্বনি ব্যথা জেগে ওঠে প্রাণে,
গোধূলিবেলায় ভেসে আসে সুর দেখো ভৈরবী তানে।
যমুনার তীরে রাই আমাদের লাল বেনারসি গায়ে,
কৃষ্ণ সখারে খুঁজে খুঁজে মরে, নূপুর পরেছে পায়ে।
রাই আমাদের অভিসারে যায় প্রেমের কুসুম তুলে,
প্রেমের ভেলায় ভেসেছে সে আজ কুল মান লাজ ভুলে।
ফাগের আগুনে জ্বলে পুড়ে মরে নেই তো কানুর খোঁজ,
বসন্ত আজ বৃথা চলে যায় তবু রাই আসে রোজ।
প্রেমের জোয়ারে ভেসেছে দুজনে রাখবে বুকের মাঝে,
জীবনে মরণে প্রিয়তম চায় সকাল বিকাল সাঁঝে।
প্রিয় বিনা তার গতি নাই আর কালের আগুন জ্বলে,
হৃদয়েতে তার লেগেছে আগুন যায় কদমের তলে।
বিরহ ব্যথায় কাতর রাধিকা চোখে তার জল ঝরে,
কোথা গেলে তুমি ব্রজের দুলাল মনে মনে তাই স্মরে।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
আমি ইন্দিরা দত্ত, গৃহ শিক্ষিকা ও গৃহবধূ। নাচ,গান,আবৃত্তি ও বাগান করা আমার নেশা। বই পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে।। তাই সাহিত্যের প্রতি অনুরক্ত।গল্প,কবিতা লিখলে আমার মন ভালো হয়ে যায়। পিতার নাম – ঈশ্বর শ্যাম সুন্দর বিশ্বাস, মাতার নাম – শ্রীমতি বীণাপণি বিশ্বাস, স্বামীর নাম – উৎপল দত্ত।