বায়ুপোড়া ঘ্রাণ
-সত্যজ্যোতি রুদ্র
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
চৈতী দিনের শেষে
প্রকৃতির গায়ে প্রলেপ দিয়ে যায়
প্রখর রোদের তাপদাহ,
এ যেন দাবানলের দাবদাহ!
হাহাকার বায়ু পোড়ার ঘ্রাণে জনজীবন বিপর্যস্ত,
শান্তি নেই কাজে,শান্তি নেই সমাজে
শান্তি নেই মাঠে-ঘাটে-বাটে
শান্তি নেই সমতটে
শান্তি নেই মরু-পাহাড়-সমতল -গিরিতটে।
প্রতিটা নিশ্বাসে হুতাশী বেহারা,
তরুলতা, বৃক্ষরাজির বিবর্ণ চেহারা,
বিয়াল্লিশ ডিগ্রী সেলসিয়াসে মানব আধমরা।
শুকিয়ে যাওয়া খাল-বিল-সরোবরে
মাছেরা ছটফট করে,
মাটির বুক চিরে চিরে ফালাফালা করে।
মেঘ-বৃষ্টির আভাস নেই,চাতকের ডাক নেই, আকাশ-বাতাস তৃষায় কাঁপে
শরীর-মস্তিষ্ক কর্ম বিমুখতায় ফাঁপে।
সকাল থেকে রবির অস্তরাগে,
ক্লান্তিতে দেহ অবসর মাগে।
বিষন্ন দুপুর খোঁজে দিনান্তে বিশ্রাম
অবসন্ন দেহ হেলে পড়ে খোঁজে আরাম।
কোথাও ছায়া নেই, গাছপালা উজাড়ে
বৈশ্বিক উষ্ণতা জলবায়ুর ঘাড়ে,
রোদপোড়া বায়ে পোড়া রুটির গন্ধ
শ্বাস-প্রশ্বাসে কার্বনের নির্যাস!
এ মুহুর্তে একটা কালবৈশাখী
সাদরে সম্ভাষণ জানায় প্রাণীকূল,
লণ্ডভণ্ড করে দিলে ,সেও ভালো!
দুর্বিসহ তাপদাহের যন্ত্রনা হয়তো বা
কিছুটা প্রশান্তি এনে দিতো—-
সবুজের বুক শীতল হাওয়ায় গা মুছতো।
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি–
সত্যজ্যোতি রুদ্র, সহকারী শিক্ষক,সুরকার ও গীতিকার, চকরিয়া,কক্সবাজার।