প্রকৃতির সৌন্দর্য

-সঞ্জয় টুডু

∞∞∞∞∞∞∞∞∞

অপূর্ব সৌন্দর্যের খনি এই ভূবন,

বৈচিত্র্যময় রূপের ভান্ডারে মুগ্ধ জনগণ।

পৃথিবীই বসবাসের একমাত্র গ্ৰহ,

সবুজের সমারোহে বেড়ে যায় বাঁচার আগ্ৰহ।

প্রসারিত বুকের প্রতি প্রান্তরে,

কোটি কোটি প্রাণী ও উদ্ভিদ আশ্রয় যে করে।

ভূ-ভাগ,জলভাগ মিলেই ধরণী,

একে অপরের নির্ভরশীল সকলে তা মানি।

রৌদ্রময় উজ্জ্বল দিবসে রূপালী ঢেউয়ের হাসি,

কাজলকালো দিঘীর জলে প্রস্ফুটিত পদ্ম, শাপলার শোভা,কেনা ভালোবাসি।

উঁচু নীচু পাহাড় পর্বত, উন্মুক্ত গগন, সুনীল সমুদ্র,আবাদিত শষ্যের মাঠ,

এ যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলা নিকেতন,

উল্লাসে ভরে ওঠে হৃদয়,চিত্ত ও দুই নয়ন।

রাখালের বাঁশির মধুর সুর উদাস দুপুরকে ভরিয়ে দেয়,

শীতল হাওয়ার পরশ পল্লীকুটিরকে আপন করে নেয়।

সবুজের কোলে আঁকে বাঁকে চলা নদীর ভিন্ন ভিন্ন রূপ,

কৃষিকাজে প্রবাহমান জলধারা আশির্বাদ স্বরূপ।

ফুলের সুগন্ধের সৌরভ দিকে দিকে ছড়ায়,

পাখিরা সু্রেলা কন্ঠে মনকে ভরায়।

প্রকৃতির সৌন্দর্য ধরা পড়ে ঋতুর বৈচিত্র্যময় সম্ভারে,

স্বতন্ত্রভাবেই অনন্য নিজ নিজ দ্বারে।

গ্ৰীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহ সূর্যের তাপে,

সুশোভিত নবযৌবন ফিরে আসে বসন্তের চাপে।

প্রাণীকুল কখনোই জগৎটাকে রাখে না নীরব,

দিনের বেলায় পশুপাখি তো রাত্রিতে কীটপতঙ্গের কলরব।

সারাদিন ব্যাপি রবির আলো,

চন্দ্র, তারা, জোনাকিরা স্নিগ্ধ রাতেই ভালো।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য,

এমন রূপসী মূহুর্ত উপভোগ করে বারে বারে,গোটা বিশ্ব।

∞∞∞∞∞∞∞∞∞

কবি পরিচিতি ঃ

উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘী ব্লকের অন্তর্গত নাকোল গ্ৰামে জন্ম। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন বিষয়ে লেখা লেখি করেন। ‘সৃষ্টির খোঁজে ‘ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রথম কবিতার নাম ‘নীরব বৃক্ষ’।

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*