মৃত্যুদণ্ড

-অভিজিৎ হালদার

⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔

আকাশের সীমানা জুড়ে মনের সংযোগ

ইদানীং বহু রঙীন পাখি আসে এবং যায়

কারো খোঁজ রাখা হয় না !

হাত পাতলেই বিষণ্ণতায় ভরে যায়

যেন মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে আমাকে।

একটি বিরহের গল্প সমাপ্তির দিকে চলে গেছে

হঠাৎ পথ চলতে চলতে যদি থেমে যায় কেউ

মনে করো তেমন।

পাখির পালকে রাষ্ট্রনীতি রঙ বদলায়

আর রঙ বদলায় কিছু মানুষ…..

সব কিছুরই শুরু থাকে তেমন থাকে শেষ

চোখ খোলা হৃদয়ের অসুখে ব্যগ্র করেছি পুরো হে।

হুড়মুড় করে ভেঙে যাওয়া সব প্রাচীন অট্টালিকা

শূন্য থেকে হৃদ্যতা আনে

যেন সুচের আগায় কীটপতঙ্গদের বার

আর বার গড়েছে মানুষ চাঁদের বুকে।

মৃত্যুদন্ড: একুশ গ্রাম ব্যবধান একটি হামিংবার্ড পাখির সাথে মানুষের।

হৃদয়ের পুরানো দাগ মুছে যায় আর মুছে যায় সমস্ত ভালোবাসাবাসি।

কেউ থাকে না জীবনের শেষ মুহূর্তে আশে পাশে।

জীবনের বদ্ধ খাঁচা থেকে জীবনরূপী পাখিটি উড়ে যায় তার আকাশে ,

যার খোঁজ কেউ দিতে পারে না !!

অজস্র জন্ম মহাসাগরের দিকে চলাচল

হলুদ কাগজে মোড়া তিলোত্তমা নগরী

এক নতুন ইতিহাস সূচিত করে।

মানুষের বুকের ওপর দিয়ে অতীতের ট্রাম চলে

হাতের আঙ্গুলে বিষফোঁড়া উদিত হয়

যেন নৌকার নাবিক নিজের নৌকায় আগুন জ্বালিয়েছে

জানেনা সে নিজেও কোন্ দুঃখে !!

অভাবে মানুষের ঘর ঝলসে যায়

সেখানে ফুল বাগান সব তপ্ত কাঠে পরিণত হয়

আর দুটি চোখে দাবানল নেমে আসে।

মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে মানুষের

যে ঘুম শাস্ত্র মানে না একদিন

সে ঘুম চলে আসে অগ্নিজোয়ারের পর্ব শেষ করে

জীবনকে কেড়ে নিয়ে সেই পাখিটি উড়ে যায়।।

⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔

লেখক পরিচিতি:-

জন্ম:- লেখক অভিজিৎ হালদার এর জন্ম নদীয়া জেলার অন্তর্গত হাঁসখালি ব্লকের মোবারকপুর গ্রামে ১লা সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে। পিতা:- কার্ত্তিক হালদার, মাতা:- আরতি হালদার শিক্ষা:- মোবারকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় , ভাজনঘাট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বর্তমানে সুধীরঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ভূগোল বিভাগের অনার্সের ছাত্র। লেখালেখির সূএপাত: স্কুল জীবন থেকে। লেখালেখি:- বিভিন্ন – পএ পত্রিকা, ম্যাগাজিন , ওয়েবজিন, ফেসবুক পেজ/ ফেসবুক গ্রুপ , ব্লগসাইট , ওয়েবসাইট , অনলাইন প্লাটফর্ম , এছাড়া বিভিন্ন ফোরামে। বই:- “প্রথম আলো”(২০২১)

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*