শ্রমিকের ভাগ্য
-আশীষ খীসা
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
মাথার ঘাম পায়েতে ফেলে
শ্রমিকরা করে নিরলস কাজ,
এত কষ্ট ও পরিশ্রম করে তারা
কিন্তু তাদের নেই কোনো সাজ।
শ্রমিকের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ঘামের
বিনিময়ে মালিক হয় বিত্তশালী ও ধনী,
শ্রমিক মালিককে সর্বোচ্চ আসনে বসালেও
শ্রমিক সদা থাকে মালিকের কাছে ঋণী।
কলকারখানা,ব্যবসা-বাণিজ্য সব চলে
শ্রমিকের হাড়ভাঙ্গা কঠোর পরিশ্রমের ফলে,
মালিক তো মালিকই সদা বহাল থাকে
শ্রমিক পারেনা মালিকের সাথে ছলে,বলে ও কৌশলে।
শ্রমিক যতই কাজ করুক না কেন
সে আজীবন থেকে যায় শ্রমিক শ্রমিকই,
যদিও ভাগ্যেবশতঃ মুষ্টিমেয় দুয়েকজন
হাতে গোনা শ্রমিক থেকে মালিক হয় ঠিকই।
শ্রমিকের ভাগ্য কোনদিন কখনও
হবেনা এই ভুবনে এই সমাজে পরিবর্তন,
তাই শ্রম আইন-কানুন আশু করা প্রয়োজন
পরিমার্জন,পরিবর্ধন,আধুনিকায়ন ও সংশোধন।
আন্তর্জাতিকভাবে যদিও আট ঘন্টা কাজের দাবীতে
শ্রমিকরা করে তীব্র প্রতিবাদ ও দুর্বার আন্দোলন,
কিন্তু মালিকপক্ষ করেনা তা যথাযথ পালন
হয়না তা কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়ন।
শ্রমিকরা কখনও পায়নি এবং আদৌ পায়না
শ্রমের যথাযথ ন্যায্য অধিকার,মূল্য ও পারিশ্রমিক,
যদিও তারা করে মালিকের সব কাজ সম্পাদন
এবং দিনরাত করে পরিশ্রম মানসিক ও কায়িক।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি :
কবি আশীষ খীসা ,পিতা – বিনয় কান্তি খীসা, মাতা – গোপা দেবী খীসা,জন্ম- রাঙ্গামাটি সদর। গ্রাম-তুলাবান,ডাকঘর-মারিশ্যা, উপজেলা-বাঘাইছড়ি, জেলা-রাঙ্গামাটি।তিনি পেশায় একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাঁর বর্তমান কর্মস্থল – আলীকদম উপজেলা, জেলা বান্দরবান পার্বত্য জেলা। তাঁর যৌথ কাব্যগ্রন্থ ১৬টি। তিনি একাধারে কবি,সাহিত্যিক,গীতিকার ও শিল্পী। তিনি বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের সহিত জড়িত আছেন। তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য এ যাবত অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেছেন।