এক টুকরো মেঘ
-শ্যামল কুমার মিশ্র
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
ছাইরঙা এক টুকরো মেঘ
রোজ নেমে আসে বাতায়ন পাশে
টুকরো বৃষ্টির ছাট আছড়ে পড়ে ঊর্মির মুখে
কালবৈশাখী উড়িয়ে নিয়ে যায় ঊর্মিরে
বিশ বছর আগে এমনি এক অপরাহ্ণে…
হাতে হাত রেখে এগিয়েছিল সেই নারী
অপরাহ্ণের নরম আলো ছুঁয়েছিল ওদের
শিলাইয়ের ঢেউয়ে জেগে ছিল নতুন দ্যোতনা এক
মুখভার করা ছাইরঙা মেঘ সেদিনও ঝরে পড়েছিল দুবাহুর উষ্ণ আলিঙ্গনে ধরা পড়েছিল কপোতীর হৃদয়
বাতায়ন পাশে ঊর্মি আজও খুঁজে ফেরে
বিশ বছর আগের সেই অপরাহ্ণটুকু
কবোষ্ণ মন ফিরে পেতে চায় ওরে
মুক্তির প্রথম আনন্দ মাখা গোধূলি গগনে
হারায়েছে সে যে..ওঠে হাহাকার
শব্দের ঊর্মি বুকে নিয়ে
শিলাবতী আজও বয়ে নীরবে, নিভৃতে…
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি:
সাহিত্যকে ভালোবেসে কিছু লেখার চেষ্টা। কখনো তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের এক প্রত্যন্ত প্রান্তে আমার জন্ম। গ্রামবাংলার মেঠোপথে কেটেছে শৈশব। তারপর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে। রামকৃষ্ণ মিশনে তা এক ভিন্ন মাত্রা পায়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণরসায়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন। বিদ্যাসাগর রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত বিদ্যাসাগর প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় দুবার বিদ্যাসাগরের দৌহিত্র শ্রদ্ধেয় সন্তোষ কুমার অধিকারীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে। শিক্ষকতাকে ভালোবেসে প্রায় ৩৪ টা বছর কেটে গেছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে অন্যতম প্রাপ্তি “দ্রোণাচার্য্য” পুরস্কার। ভালো লাগে পড়তে, লিখতে আর মানুষের মাঝে সময় কাটাতে। আর তাই সৃষ্টি “মনীষী চর্চা কেন্দ্রের” যা মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিক মনন গড়ে তুলতে সদা সচেষ্ট। সাহিত্যের মাঝে বুক ভরে শ্বাস নেওয়াতেই আমার আনন্দ …