বৃদ্ধাশ্রম
-সঞ্জয় টুডু
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
তিলে তিলে গড়ে তোলা সংসার,
ছিলো না একফোঁটা অহংকার।
সুখে শান্তিতে কাটানো অনেক বছর,
পরিবারে ছিল আনন্দের আসর।
আজ মোরা দুর্বল,অক্ষম,
করতে পারি না পরিশ্রম।
ধমনীতে বয়ছে না আর গরম রক্ত,
আমরা তো সকল সন্তানের ভক্ত।
তবুও যেতে হয়,বাধ্য হয়ে
বুকে নিয়ে হাজারো দুখ,
পুত্র কন্যার মূখে হাঁসি ফোটিয়ে
বিসর্জন দিয়ে নিজের সুখ।
শরীরে নেই কর্মক্ষমতা, উৎফুল্লতা
দিতে নাহি পারি শ্রম,
জীবনের অন্তিম লগ্নে
অসহায় ও বঞ্চনাদের আশ্রয়স্থল বৃদ্ধাশ্রম।
বৃদ্ধ বয়সে নেই যৌবনের তেজ,
দুঃখ দুর্দশা, যন্ত্রনায় পূর্ণ জীবনের শেষ পেজ।
মনে প্রাণে বয়ে চলে তিক্ততা,
নিয়তির এই কি বিচার বিধাতা!
উঁচু উঁচু পাকা বাড়ি খাড়া,
পিতা মাতা হয় ঘরছাড়া।
সবই তাদের জন্য
তবুও জোটে না কেন দুমুঠো অন্ন।
গুটিয়ে নিয়ে দু’হাত,
আশ্রয় কেনো দাও ফুটপাত।
ফিরতে চাই, ফিরতে চাই নিজ ঘরে,
হিংসা বিভেদ ভুলে ভালোবাসার আদরে।
সেথা নেই কোনো আত্মীয় স্বজন,
‘ফিরিয়ে নাও’ মোদের কাতর আবেদন।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতি ঃ
উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘী ব্লকের অন্তর্গত নাকোল গ্ৰামে জন্ম। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ও বিভিন্ন সময়ে নানা বিষয়ে লেখা লেখি করেন। ‘সৃষ্টির খোঁজে’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রথম কবিতার নাম ‘নীরব বৃক্ষ’।