সভ্যতার ভিত্তি
-বিজয়া মিশ্র
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
এই সুন্দর অট্টালিকা ঝাঁ চকচকে রাস্তাঘাট
এই যে কত স্টল বসেছে,চারিদিকে দোকানপাট
সকালবেলা খবরের কাগজ,সব্জি,ফল,দুধ, মাছ
কোথা থেকে কীভাবে এল ভাবিনা তো সাতপাঁচ।
কেউ না কেউ হাতের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে রোজ
পয়সা দিলেই কেল্লাফতে জুটছে ভুরিভোজ।
এর পেছনে কত শ্রম,কত মানুষের রক্ত জল
হাড় হিম করা লড়াই দিয়েই ফলেছে সব ফসল।
কালের চাকায় পিষ্ঠ হ’য়ে হারিয়ে যায় কত প্রাণ
বাঁশানুক্রমে হাল ধরে বউদেরও নেই পরিত্রাণ।
পেটের দায়ে হাড়খাটুনি ওরা শুধুই খিদে বোঝে
নিরন্ন যাপন অনেকদিন শুধু যে কোন কাজই খোঁজে।
যে চাষী রোদে জলে শুখা মাটি সবুজ বানায়
মরশুম শেষে মহাজনের ধার মেটাতে সবই হারায়।
ন্যায্য দাম না পেয়ে আত্মহত্যা রোজের খবর
সঙ্গে দোসর মহাজনের অদৃশ্য টান বছরভর।
অনেক শ্রমের হয়না হিসেব একটানা ক্লন্তিহীন
অলক্ষ্যে থাকে সবটুকুই নীরব তবু রাত্রিদিন ।
বুদ্ধি ও শ্রম একত্র হ’লে সৃষ্টি তখন জগৎজোড়া
এইভাবেই নিয়ত এগোয় সভ্যতার গতিধারা।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি:
আমি বিজয়া মিশ্র। আদি নিবাস পূর্ব মেদিনীপুরের একটি গ্ৰামে। গ্ৰাম্য উন্মুক্ত পরিবেশের বৈচিত্র্য মাঝে আমার বেড়ে ওঠা, লেখাপড়া এবং লেখালেখির সূত্রপাত ।স্কুল শেষ ক’রে কলেজ, বাংলা বিভাগে স্নাতক( মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর মহাবিদ্যালয় থেকে),জুনিয়র বেসিক ট্রেনিং-সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন থেকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এড, এবং অন্যান্য কিছু ডিপ্লোমা, ডিগ্ৰী ও সোস্যাল স্টাডিজ নিয়ে পড়াশুনা, মেডিকেল এরিয়ায় শিক্ষিকা ও অন্যান্য পদে অন্ততঃ পনের বছর অতিবাহিত ক’রে বর্তমানে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরতা এবং কলকাতার যাদবপুরে বসবাস করি। নমস্কার, ধন্যবাদ।