পৃথিবীর ফসিল
-মোঃ জাকির হোসেন
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
আমাবস্যার চাঁদের গনগনে অগ্নিতে
নিজেকে পুড়িয়ে তাম্রলিপির বর্ণমালার পরিচয় নিয়ে
অন্তরালে অন্তসারশুন্য করে রাখার এ কোন অভিপ্রায়!
ওখানে পৃথিবীর ইতিহাস খুঁজে দেখার জন্য আতস কাচে,
তুলতুলে নরম হাতে পরশ বুলায় এ প্রজন্ম।
মৃত্তিকার গভীর হতে অচেনা অজানা কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
উঠে আসে তাদের চমকিত চোখের দ্বারে।
কত প্রশ্ন? সদুত্তর তেমন নেই-
অচেনা অজানা এই উত্তর গুলো,
বর্তমান সময়েরই ইঙ্গিত বহন করে।
মাটিতে চাঁপা যে ইতিহাস, ঐতিহ্য,
চারপাশে বেহালার করুণ সুরের মূর্ছনায় কেঁদে ভাসায়
পৃথিবীর ফসিল।
বঞ্চিত শ্রেণির ফোসকা পরা হাতে,
ঘামে ভেজা সমস্ত শরীরে চাবুকের আঘাতের চিহ্ন।
যে চিহ্ন গড়ে তুলেছে ইতিহাসের পরে ইতিহাস।
পৃথিবীর ফসিলে আজও চাঁদ জোছনা দেয়!
যে জোছনার আলোয় আলোকিত সবাই নয়।
কোথাও অন্ধকার, কোথাও আলোর লুকোচুরি খেলা,
কোথাওবা চন্দ্রিমা!
এখন চাবুকের আঘাতের চিহ্ন হয়তো খুঁজে পেতে কষ্ট হবে,
হৃদয়ের চোখে আতস কাচ দিয়ে দেখলেই-
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন চিহ্নিত করা অসম্ভব কিছু নয়।
মাটিতে চাঁপা ইতিহাস পুনর্জীবন নিয়ে সকলের দরজায় কড়া নাড়ছে।
বোবাকান্না শব্দে উচ্চারিত হয় স্বপ্ন ভঙ্গের কথা,
শিশুর নিষ্পাপ অবহেলিত চাহিদা,
লাজুক, নাজুক মনের সদ্যস্নাত কেশমালা থেকে টপটপ করে জল পরা
নারীর ঠোঁটের কোণে অনুচ্চারিত শব্দমালা,
কবিতার শব্দ চয়নে বিষাক্ত তীরের ফলা।
পৃথিবীর ফসিল তাই আহবান করে আমাবস্যার চাঁদ!
গনগনে লাল আলোর আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে সৃষ্টি করতে চায়,
ফসিল নয়,
জীবন্ত পৃথিবী!!
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি-
দিনাজপুর, বাংলাদেশ