ঝড়ের পরবর্তী অবস্থা
-বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
ঝড় পার হলে দেখি সকালের বেলায়
গাছ ভেঙে পড়ে আছে দিগ্বিদিকে,
রাস্তা পারাপার বন্ধ হয়েছে আজিকে
ঘরের চাল খুলে নিয়ে গেছে দামাল হাওয়ায়।
মানুষ কত অযাচিত আঘাত সয়েছে
টালি চুরমুর হয়ে পড়ে আছে ভেঙে,
ইলেকট্রিকের খুঁটি এখানে ওখানে ভেঙে
তার ছিঁড়ে বেহাল, বিদ্যুৎ হীন রয়েছে ।
বাবুদের আরামে, হয়েছে ব্যারাম
গত কয়েক দিন হাতে হাতে ধরে,
মোবাইল চলেনা আর তাই অবসরে
অন্ধকারে ডুব দিয়েছে সবকটি গ্রাম।
গরমে আর মশার কামড়ে অতিষ্ঠ নাজেহাল
সারারাত্রি করে চলেছি খালি ঝড়ের দুর্নাম।
রাত্রির গহীন অন্ধকারে মনে হয় যেন
প্রাগৈতিহাসিক যুগে মোরা এসেছি হেন।
নিশ্চ্ছিদ্র অন্ধকারে ডুব দিয়েছে চারপাশ
আরো কত দিন লাগবে পরতে আলোর সাজ।
গরীবের ঘরে ঘরে ক্ষতির কবলে, করছে হাহুতাশ
কি তান্ডবটাই না করে গেল প্রাকৃতিক দুর্যোগে
ঐ কালবৈশাখীর বেগবতী দামাল বাতাস।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
নব প্রজন্মের কবি শ্রী বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ( পিতা শ্রী যুত্ বাদল মণ্ডল ও মাতা শ্রীমতী শীতলা দেবী ) মহাশয়ের জন্ম পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত গদীবেড়ো নৈসর্গিক গ্রামে।
গ্রামের পটভূমিতে রচিত হয়েছে প্রকৃতি প্রেমী বিভূতি ভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অতি প্রাকৃত গল্প ‘ রঙ্কিনী দেবীর খড়গ ‘।
কবি পেশায় শিক্ষক ও নেশায় বাগান প্রেমী । তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত পরমানন্দপুর রমানাথ বিদ্যাপীঠ এর সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত আছেন।
শ্রী শ্রী রামচন্দ্র আর্দশ বিদ্যালয়, গদীবেড়ো থেকে পড়াশোনার সাথে সাথে বিদ্যালয় পত্রিকা ‘ ধ্রুব তারা ‘ য় প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশিত হয়।
প্রথম কাব্য গ্রন্থ অনুভব ,অনুরণন ও অপরাহ্নের প্রেয়সী ( পঞ্চবান শৈলীতে ) , অনুরাগ ( হাইকু শৈলীতে ) , অনুভূতি ( বত্রিশা অণু গদ্য কবিতা শৈলীতে ) , অনুভা ( অনুভাষ শৈলীতে ) কাব্য সংকলন প্রকাশিত হয়েছে ।
দেশ ও আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক বাংলা সাহিত্য পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থেকে এযাবৎ বিভিন্ন শারদীয়া, ত্রৈমাসিক, মাসিক, ও ই-পত্র পত্রিকায় কবিতা, পরমাণু গল্প, অনু গল্প ও প্রবন্ধ, রম্যরচনা, সংলাপ প্রকাশিত হয়ে আসছে। গুগল সার্চ করে ইমেজে ক্লীক করে লেখা পড়ে দেখতে পারেন। একাধিক যৌথ সংকলনের পাশে পাশে থেকে কবিতার পাতা ডট কমে নিয়মিত কলম ধরে চলেছেন।
বাস্তব চিত্র আঁকা হয়েছে।