মেঘমল্লারের চিঠি
-দ্বীপ দে (যীশু)
⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔
চন্দ্র এর তৃষায় তার মেয়ে জন্মের স্বপ্ন
ছুটে বেড়ায় সর্ষে ক্ষেত এর মাঝে,
মেঘতালুকে কিশোরীর ষোড়শী মন
কমলিনী সাজতে চায়, কলঙ্কিনী নয়।
মেঠো কাদা ধুয়ে যায় ,
শ্যাওলা ভরা ঘাটের জলে,
তবে কলকাপড়ের শাড়ির পারে
খানিকটা ময়লা ধুতে যেতে হয়-
কাজলানদীর দিকে।
এ ছিল মলয়যোগ,
মনে পড়ে যায় হাজার সুপ্ত স্মৃতি।
নদীস্রোতের বুকচেরা উল্লাসী হাহাকার,
সেই অহংকার এর ছদ্রে ভেসে আসে
নারায়ণী সায়াহ্নের গঙ্গআরতির ছবি।
শাপলা পাতায় লিখে ভাসিয়ে দেওয়া
আবছা পাড়ের জলজ আন্তর্জামীর কাছে।
দুধ আলতায় মিশে যাওয়া- সাধ সাধ্য ও সাধনা।
তাঁর পদধুলোর ধূসর হতে পারে ক জন?
সিংহাসনী গৌরীদেবীর পটের সামনে
চণ্ডীপাঠের ঝঙ্কার ধ্বনি,
ভেসে আসে নীলাঞ্জনা রাতের
গহন পথ ধারে, এসো একবার সময় করে
আষাঢ়ে স্নানের জন্য মেঘবালিকার আমন্ত্রণ রইল।
⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔
কবি পরিচিতি-
ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা শহরে জন্ম এবং ডন বসকো স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ শিক্ষায় ব্রতী হলেও বাংলাকে ভালোবাসা ও মাঝে মাঝে পড়ার ফাঁকে কিছু এলোমেলো চিন্তায় লেখা লেখি করা। পাঠকদের প্রশংসা ও সমালোচনাই আমার সাহিত্যচর্চার পরম পাথেয়।