কামাগ্নি
-চিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
তাপের মিটার ঊর্ধ্বে দিচ্ছে দেখি লাফ
সূর্যদেব রোষাগ্নিতে পৃথ্বি দগ্ধ করে,
প্রখর তপন তাপে বুকে ধরে হাফ
সূর্যের রক্ত চক্ষুতে প্রাণী বুঝি মরে।
আরামের আতিশয্য বিজ্ঞানের তরে
সবুজ বনানী আজ নির্বিচারে সাফ,
মিসাইল বিস্ফোরণে হাহাকারে ভরে
মানবের অত্যাচার হবে কি গো মাফ!
প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রলয়ের সৃষ্টি,
উষ্ণায়নের ভ্রুকুটি কামাগ্নির কৃষ্টি।
প্রকৃতির ভারসাম্য নেই আজ ভালো
ধূমায়িত রোষানল মানবের জন্য,
তাপদগ্ধ পৃথিবীতে শান্তি বারি ঢালো
সবুজ বৃক্ষ রোপন করে হও ধন্য।
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি-
সাহিত্য জগতে একটি সুপরিচিত নাম চিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় (মুখোপাধ্যায়)। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী চিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। যেখানে ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট কথাশিল্পী শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম হয়েছিল। পিতা প্রয়াত সুকুমার মুখোপাধ্যায় এবং মাতা মালা মুখোপাধ্যায়। স্কুলজীবন থেকেই তার কবি জীবনের শুরু। কবি,গল্পকার,প্রবন্ধকার ও উপন্যাসিক চিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় রানিগঞ্জ টিডিবি কলেজ থেকে কলেজীয় শিক্ষা গ্রহণ করে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী। সাহিত্যের প্রতি প্রবল ঝোঁক থাকায় স্কুল-কলেজ ম্যাগাজিনে বহু কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন। বর্তমান আবাসস্থল দুর্গাপুর। তার একক কাব্যগ্রন্থ তিনটি। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যখন যা মনে আসে’ ২০১৯ সালে দুর্গাপুর বইমেলায় শ্রীমতি বাণী বসুর হাত দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। তার যৌথ কাব্যগ্রন্থ পঞ্চাশোর্ধ। তার কবিতা বাংলাদেশের দৈনিক দেশজগত সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং টিভি চ্যানেলেও তার কবিতা বহুবার পাঠ হয়েছে। এছাড়াও তিনি এক্সপ্রেস নিউজ চ্যানেল সাহিত্য-সংস্কৃতি আড্ডায় অংশগ্রহণ করেছেন। তার সৃজনশীলতা গুণাগুণের জন্য সহস্রাধিকের বেশি মানপত্র অর্জন করেছেন।