শহর

-সঞ্জয় টুডু

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

রাস্তার দুপাশে উঁচু উঁচু অট্টালিকা,

ছোট বড়ো কত রকমের বাড়ি যায় দেখা।

অফিস, আদালত, হাসপাতাল সবই শহরে,

মানুষ ছুটে যায় বিভিন্ন দরকারে।

সহজে যত্রতত্র যাতায়াত করা,

যানবাহনের অভাব নাহি অধরা।

সুনামধন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বৃত্তি ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবস্থিত সেথায়,

ছাত্র-ছাত্রীরা যোগদান করে

উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ জীবন গড়ার আশায়।

চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী মানুষের বসবাস,

সারাদিন কর্মে ব্যস্ত থাকে রোজগারের করে প্রয়াস।

হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা,

কেনাকাটা থেকে শুরু করে ডাক্তারখানা।

গ্ৰাম-গঞ্জের ফলমূল, কাঁচা শাক-সব্জি,

বিক্রিবাটা চলে সকাল হতে সন্ধ্যা অবধি।

কেও চড়ে ট্রেনে,কেও ওঠে প্লেনে,

গন্তব্যস্থলে পৌঁছায় শহরের কোনো এক কোণে।

প্রায়শই পরিলক্ষিত ভীড়ে ঠাসা রাস্তাঘাট,

মুহূর্তে সৃষ্টি হয় যন্ত্রনার তীব্র যানজট।

সেথা নেই খোলামেলা পরিবেশ,

চতুর্দিকে সারি সারি দোকানপাট, শপিং মল,

কলকারখানার নেই কোনো শেষ।

অসংখ্য ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শহর বিশ্বজুড়ে,

আলোক সজ্জায় সজ্জিত সারারাত ধরে।

সুলভে প্রাপ্য চাহিদার নানা সুযোগ-সুবিধা,

মানুষ যেতে চায় শহরে, নাহি কোনো দ্বিধা।

শহরবাসী কাটায় আবদ্ধ জীবন,

অবকাশ পেলেই খোলা শীতল বাতাসে ভরায় মন।

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

কবি পরিচিতি ঃ-

উত্তরদিনাজপুর জেলার করণদিঘী ব্লকের অন্তর্গত নাকোল গ্ৰামে জন্ম। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ও বিভিন্ন সময়ে নানা বিষয়ে লেখা লেখি করা হয়।”সৃষ্টির খোঁজে” ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রথম কবিতার নাম ‘নীরব বৃক্ষ’।

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*