বৃষ্টি কেন অধরা?

-বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল

∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼

তোমরা এখন হা হুতাশ

করে সমস্বরে বলছো।

বৃষ্টি চাই, বৃষ্টি চাই – – –

চাই বললেই হল

বৃষ্টি তোমাদের দিচ্ছে কে ?

তোমরা যতই এখন

ব্যাঙের বিয়ে দাও।

আর দেবালয়ে দেবালয়ে

জুড়ি প্রসাদ বিলাও।

মানুষ, তোমরা বড় আহাম্মক হে!

বড় বড় গাছ কেটে রাস্তা বানাও

ঝাঁক চকচকে শপিংমল, ফ্লাইওভার,

ফ্লাট বাড়ি, মাল্টি কমপ্লেক্স চাও

এ. সি তে নিশ্চিন্তিতে ঘুমাও।

এখন, বোঝ ঠেলা – – –

হাড়ে হাড়ে সকলেই টের পাও

বাঁচতে হলে গাছ লাগাও – গাছ বাঁচাও ।

∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼

কবি পরিচিতি-

নব প্রজন্মের কবি শ্রী বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ( পিতা শ্রী যুত্ বাদল মণ্ডল ও মাতা শ্রীমতী শীতলা দেবী ) মহাশয়ের জন্ম পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত গদীবেড়ো নৈসর্গিক গ্রামে।

গ্রামের পটভূমিতে রচিত হয়েছে প্রকৃতি প্রেমী বিভূতি ভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অতি প্রাকৃত গল্প ‘ রঙ্কিনী দেবীর খড়গ ‘।

কবি পেশায় শিক্ষক ও নেশায় বাগান প্রেমী । তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত পরমানন্দপুর রমানাথ বিদ্যাপীঠ এর সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত আছেন।

শ্রী শ্রী রামচন্দ্র আর্দশ বিদ্যালয়, গদীবেড়ো থেকে পড়াশোনার সাথে সাথে বিদ্যালয় পত্রিকা ‘ ধ্রুব তারা ‘য় প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশিত হয়।

প্রথম কাব্য গ্রন্থ অনুভব ,অনুরণন ও অপরাহ্নের প্রেয়সী ( পঞ্চবান শৈলীতে ) , অনুরাগ ( হাইকু শৈলীতে ) , অনুভূতি ( বত্রিশা অণু গদ্য কবিতা শৈলীতে ) , অনুভা ( অনুভাষ শৈলীতে ) কাব্য সংকলন গুলো প্রকাশিত হয়েছে ।

দেশ ও আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক বাংলা সাহিত্য পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থেকে এযাবৎ বিভিন্ন শারদীয়া, ত্রৈমাসিক, মাসিক, ও ই-পত্র পত্রিকায়, পর্যটন গ্রুপ গুলোতে কবিতা, পরমাণু গল্প, অনু গল্প ও প্রবন্ধ, রম্যরচনা, সংলাপ প্রকাশিত হয়ে আসছে। গুগল সার্চ করে ইমেজে ক্লীক করে লেখা পড়ে দেখতে পারেন। একাধিক যৌথ সংকলনের পাশে পাশে থেকে কবিতার পাতা ডট কমে নিয়মিত কলম ধরে চলেছেন।

 

 

1 thought on “বৃষ্টি কেন অধরা? -বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*