নদী

-বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল

≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈

নদী সতত প্রাণের কথা বলে

কতশত সভ্যতা লালন করে।

নদী এঁকে বেঁকে এগিয়ে চলে

স্রোতস্বিনী তরঙ্গিনী প্রবাহিণী তটিনী

জলধারায় সবুজ করেছে যেন ধরনী।

প্রয়োজনে খাত পরিবর্তন করে চলে

নদী মোহনায় প্রেমিক সাগরে মিলে।

মাঝি মাল্লারা দাঁড় টেনে টেনে নৌকাবায়

জেলে মাছ ধরেই তার সংসার চালায়।

নদীতে যেন জোয়ার ভাটা খেলে

ভরা গাঙে বান ডাকে বর্ষাকালে

মানুষ ভয়ে ভয়ে থাকে ঐ দু কূলে।

বন্যায় নদী করালবদনী সর্বগ্রাসী

দুখঃ ভরা নদী হউক না বানভাসি!

তবুও ঐ নদীই তো সৃষ্টির নামান্তর

শস্য – শ্যামল স্পর্শে মাতৃস্নেহ দাত্রী

নীরবে বয়ে চলেছে নদী জন্ম জন্মান্তর।

≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈

কবি পরিচিতি-

নব প্রজন্মের কবি শ্রী বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ( পিতা শ্রী যুত্ বাদল মণ্ডল ও মাতা শ্রীমতী শীতলা দেবী ) মহাশয়ের জন্ম পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত গদীবেড়ো নৈসর্গিক গ্রামে।

গ্রামের পটভূমিতে রচিত হয়েছে প্রকৃতি প্রেমী বিভূতি ভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অতি প্রাকৃত গল্প ‘ রঙ্কিনী দেবীর খড়গ ‘।

কবি পেশায় শিক্ষক ও নেশায় বাগান প্রেমী । ছদ্ম নাম ” সরাক কবি “। তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত পরমানন্দপুর রমানাথ বিদ্যাপীঠ এর সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত আছেন।

শ্রী শ্রী রামচন্দ্র আর্দশ বিদ্যালয়, গদীবেড়ো থেকে পড়াশোনার সাথে সাথে বিদ্যালয় পত্রিকা ‘ ধ্রুব তারা ‘ য় প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশিত হয়।

প্রথম কাব্য গ্রন্থ অনুভব ,অনুরণন ও অপরাহ্নের প্রেয়সী ( পঞ্চবান শৈলীতে ) , অনুরাগ ( হাইকু শৈলীতে ) , অনুভূতি ( বত্রিশা অণু গদ্য কবিতা শৈলীতে ) , অনুভা ( অনুভাষ শৈলীতে ) কাব্য সংকলন প্রকাশিত হয়েছে ।

দেশ ও আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক বাংলা সাহিত্য পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থেকে এযাবৎ বিভিন্ন শারদীয়া, ত্রৈমাসিক, মাসিক, ও ই-পত্র পত্রিকায় কবিতা, পরমাণু গল্প, অনু গল্প ও প্রবন্ধ, রম্যরচনা, সংলাপ প্রকাশিত হয়ে আসছে। গুগল সার্চ করে নাম লেখে ইমেজ দেখে ক্লীক করে লেখা পড়ে দেখতে অনুরোধ করি। একাধিক যৌথ সংকলনের পাশে পাশে থেকে কবিতার পাতা ডট কমে নিয়মিত কলম ধরে চলেছেন।

 

 

1 thought on “নদী -বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*